Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র। অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল বাজেটে ঘোষিত পরিকল্পনাগুলি আদতেই বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সেটা দেখা। বা বাস্তবায়িত হলেও ভারতীয় অর্থনীতির উপর সেই সব পরিকল্পনার প্রভাব ঠিক কী। ২০২৩ সালে ‘অমৃতকাল’ বাজেট পেশ করতে গিয়ে নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, প্রায় সাড়ে ১১ কোটি কৃষককে সাহায্যর জন্য দু’লক্ষ কোটির উপর টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অথচ গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন—এই ছ’মাসের মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই প্রায় সাড়ে ৫০০ কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। ভারতজুড়ে কৃষকদের দুর্দশা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকার স্বয়ং বলেছিলেন, ‘কৃষকদের পাশে সরকারকে অবিলম্বে দাঁড়াতে হবে।’ সরকার দাঁড়িয়েছে কি? ‘স্কিল লোন’ থেকে শুরু করে মহিলাদের জন্য আরো বেশি হস্টেল, প্রায় হাজারখানা আইটিআই-এর আধুনিকীকরণ, এমন বহু প্রতিশ্রুতিতে ভরপুর ছিল ২০২৪-এর বাজেট। দুঃখের কথা এই যে, বাজেটের দিনটির পর থেকে এই সব বিষয়েই আর কোনও আলোচনা, (অন্তত সরকারের পক্ষ থেকে) আপনাদের চোখে পড়বে না। এ বছরের বাজেটেও গত বছরের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাগুলি নিয়ে কোনও খবর নেই। এদিকে বেকারত্বের হার বছর বছর বেড়েই চলেছে।
সম্ভবত গত বছরগুলির ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই নির্মলা সীতারামন এ বছর বেকারত্ব ঘোচানোর ব্যাপারে যাই বলেছেন, সব ভাসা ভাসা। শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রগুলিতে চাকরি বাড়ানোর জন্য বা ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে—কিন্তু সে পরিকল্পনা ঠিক কী? তা নিয়ে উচ্চবাচ্যই নেই অর্থমন্ত্রীর। বিজেপি সরকার বহু বছর ধরে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে বাজার গরম করে রেখেছে। অথচ ভারত এখনও চলছে সার্ভিস সেক্টরকে আঁকড়ে ধরেই। ম্যানুফাকচারিং-এ সাফল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে। আদৌ সে সাফল্য আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহের প্রভূত অবকাশ রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে। ব্যবসার পথ সুগম করে তোলা হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে গতিশীল করে তোলা হবে। এইটুকুই। কোনও তথ্য নেই, কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। এই হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া কথার বাইরে নির্দিষ্ট কিছু জানতে চাইলে আজকের কেন্দ্রীয় বাজেট অন্তত কিছুই জানাতে পারবে না।  
আমার ব্যক্তিগত মত এই যে, নির্মলার মতো অপদার্থ অর্থমন্ত্রী ভারত এর আগে দেখেনি। সমস্যা এই যে, নির্মলার বৌদ্ধিক গভীরতা বা দক্ষতা কত, সে নিয়ে আমাদের সম্যক ধারণাই নেই। কারণ, বাজেট থেকে শুরু করে ভারতীয় অর্থনীতির প্রতিটি খুঁটিনাটির দায়িত্বে আসলে রয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। নির্মলা প্রধানমন্ত্রীর হাতের পুতুল মাত্র। ফলে প্রতি বছর নরেন্দ্র মোদি যেভাবে অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি তৈরি করে দিচ্ছেন, নির্মলা তোতাপাখির মতো সেগুলোই আউড়ে যাচ্ছেন। এবং নরেন্দ্র মোদির জমানায় প্রায় প্রত্যেক বছরেই মার্কেটিং গিমিক-এ পর্যবসিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাজেট। এই বছর যেমন বিশাল হইচই শুরু হয়েছে আয়কর লাঘব নিয়ে। বাজেট ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্র সরকারের পেটোয়া মিডিয়ারা বলতে শুরু করেছে, এরকম জনদরদী বাজেট বহু বছরে দেখা যায়নি, বিজেপি ছাড়া ভারতের মানুষের কথা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল ভাবে না ইত্যাদি। অথচ আয়কর লাঘব করে ভারতীয় উপভোক্তাদের সাহায্য করার দরকার ছিল কোভিডের সময় থেকেই। তখন কিন্তু বারবার বিজেপি সরকার কর ছাড় দিয়ে এসেছে শিল্পপতিদের। কোভিডের অব্যবহিত পরেই অলিগার্কি বজায় রাখার জন্য এমন বাজেট নরেন্দ্র এবং নির্মলা বানিয়েছিলেন যে, বহু শিল্পপতিকেও বাধ্য হয়ে বলতে হয়েছিল, সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়া। তাঁদের হাতে নয়। মূল্যবৃদ্ধির পৃথিবীতে এই কর ছাড় এখন অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার শেষ প্রচেষ্টা মাত্র। জনসাধারণকে সত্যিই সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলে এই বাজেট অন্তত বছর চারেক আগে পেশ করা উচিত ছিল। যাই হোক, আয়কর লাঘবের ফলে কি ভারতীয় অর্থনীতি সত্যিই চাঙ্গা হবে? মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে না পারলে শুধু কর লাঘব করে ভারতীয় ক্রেতাদের উজ্জীবিত করা যাবে না। তাঁরা এই টাকাটা সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করতেই বেশি উৎসাহী হবেন। কেনাকাটির পরিমাণ তখনই বাড়বে, যখন ভারতীয় মধ্যবিত্তদের আয় বাড়বে চাকরির মাধ্যমে। কিন্তু অর্থনীতির সামগ্রিক বৃদ্ধি না ঘটলে, বা আরও চাকরির সুযোগ না এলে, তাঁদের আয় স্থবির হয়েই থাকবে। এবং সেরকম পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আয়কর লাঘব করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যাবে না। 
উপভোক্তারা খুশি নয় বলে দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন। তাঁরা তাঁদের বিনিয়োগ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এই সপ্তাহেই সিএনবিসি জানিয়েছে, ২০২৪-এ বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৯৯ শতাংশ (২০২৩-এর বিনিয়োগের তুলনায়)। বিনিয়োগ আসছে না বলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিও ঘটছে না। এই যে ‘দুষ্ট আবর্ত’, এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার। ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি এবং সরকারি বিনিয়োগ—এই দু’টিই অত্যন্ত দরকার ছিল প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে। কিন্তু এ বছরের বাজেটে দেখা যাচ্ছে, এই দু’টি বিষয় নিয়েই সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই। বরং, গত দু’-তিন বছরে যে পরিকাঠামো বিনিয়োগের কথা সরকার বলেছিল, সে নিয়েও নির্মলা আর কথা বাড়াননি। সম্ভবত যা পরিকল্পনা ছিল, তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি বলে! অথচ পরিকাঠামোয় যথাযথ বিনিয়োগ হচ্ছে না বলে আমাদের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প ধুঁকছে। হয়তো দেশজ চাহিদা তারা পূরণ করতে পারছে, কিন্তু বিদেশি ডিমান্ডের ক্ষেত্রে ব্যর্থ। যেমন চীন। তাদের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পক্ষেত্র প্রযুক্তিগতভাবে অনেক আধুনিক। তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে ভারতের জন্য। ফলে বৈদেশিক মুদ্রাও আসছে না। সেই কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।  
এবছরের বাজেটে আইনি এবং পুঁজি-বাজারে সংস্কারের কথা ঘোষণা হয়েছে, যা সদর্থক প্রচেষ্টা বলেই মনে করি। কিন্তু এগুলি বাস্তবায়িত হতে হতেই এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর জন্য যে দিশা বা স্পষ্ট করে বললে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়ানোর যে স্থায়ী সমাধানসূত্র দরকার ছিল, তার স্পষ্ট হদিশ কিন্তু পাওয়া গেল না। মনে রাখতে হবে, আয়করে ছাড় নেহাতই মামুলি টোটকা। দেশকে সাময়িকভাবে শান্ত করার খানিক অক্ষম প্রচেষ্টা। 
 লেখক ব্রিটেনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের অধ্যাপক। (মতামত ব্যক্তিগত)
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
একনজরে
নরেন্দ্র মোদিই হন বা নির্মলা সীতারামন, গোড়ায় কেউই আন্দাজ করতে পারেননি যে বাজেট পড়া শুরুর আগেই বিক্ষোভে ফেটে পড়বে বিরোধীরা। ...

প্রস্তুতি ম্যাচও এতটা একপেশে হয় না। পাড়া ফুটবলেও কিছুটা লড়াই থাকে। শনিবারের যুবভারতীতে এসব খোঁজা বৃথা। মিনি ডার্বিতে হেলায় জিতল মোহন বাগান। সাদা-কালোর ব্যারিকেড টপকে ...

কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরেছেন। শনিবার জলপাইগুড়ির বাড়িতে পা রেখে কুম্ভের সেই হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা শোনালেন পাঁচ বন্ধু প্রশান্ত দাস, অমিত রায়, ...

স্টক, এমনকী হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকেও সরিয়ে ফেলতে হবে ১৭ ধরনের ওষুধ, স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন। কেন্দ্র-রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরিদর্শনকারী দল স্বাস্থ্যদপ্তরে সরবরাহকারী এক নির্মাতার সমস্ত পণ্য উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলেছে। ইতিমধ্যেই তাদের শোকজও করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জলাভূমি দিবস
১৮১৪- কলকাতায় ভারতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা
১৮৫৩- শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে সরকারি উকিল নিযুক্ত হন
১৮৬২- শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন
১৮৮২- আইরিশ লেখক জেমস জয়েসের জন্ম
১৯০১- রানি ভিক্টোরিয়ার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল
১৯২২- প্রকাশিত হল জেমস জয়েসের ইউলিসিস
১৯৩১- বিশিষ্ট কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, সাহিত্য গবেষক, কলকাতা গবেষক, চিত্র-পরিচালক ও প্রচ্ছদশিল্পী পূর্ণেন্দু পত্রীর জন্ম
১৯৫৯- শিশিরকুমার ভাদুড়ী কর্তৃক ভারত সরকার প্রদত্ত "পদ্মভূষণ" সম্মান প্রত্যাখ্যান
১৯৭১- উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট মিলটন ওবটের স্থলাভিষিক্ত হলেন ইদি আমিন
১৯৮৯- সত্যজিৎ রায়কে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান "লিজিয়ন ডি অনার" প্রদান
১৮৮৯- আফগানিস্তান যুদ্ধ শেষে কাবুল থেকে ফিরে গেল শেষ সশস্ত্র বাহিনী 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৬০ টাকা ১০৯.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৮.১০ টাকা ৯১.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী ৭/২০ দিবা ৯/১৫। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৬/২৫ রাত্রি ২/৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২১/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ১/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৬/১২ গতে ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
১৯ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী দিবা ১২/১৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৫/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৩ মগর ৮/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি  ১/২৯ গতে ৩/৭ মধ্যে।
৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ট্রাম্পের নির্দেশে সোমালিয়ায় আমেরিকার এয়ারস্ট্রাইক, নিকেশ একাধিক জঙ্গি

01-02-2025 - 11:40:00 PM

নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

01-02-2025 - 11:19:00 PM

মালদহের মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের উপর হামলার অভিযোগ

01-02-2025 - 11:03:00 PM

কেজরিওয়াল মানুষের টাকা লুট করেছেন: রাহুল গান্ধী

01-02-2025 - 10:32:00 PM

ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৮ মাওবাদী

01-02-2025 - 09:54:00 PM

মেয়েদের বিভাগে বিসিসিআইয়ের বর্ষসেরা ক্রিকেটার সম্মান পেলেন স্মৃতি মান্ধানা

01-02-2025 - 09:44:00 PM