কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
বিএসএফের মালদহ সেক্টরের তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা নাগাদ বিএসফ সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। মোতায়েন ছিলেন বামনগোলার সোনঘাট বর্ডার আউটপোস্টের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের মহিলা জওয়ানরা। অন্ধকার ও ঘন কুয়াশার মধ্যেই এক মহিলা জওয়ান সীমান্তে কিছু মানুষের গতিবিধি লক্ষ্য করেন। বিএসএফ জানায়, ওই মহিলা জওয়ান কিছুটা সীমান্তের কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখেন চার থেকে পাঁচ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসছে। ঠিক একই ভাবে তিনি এও লক্ষ্য করেন যে পাঁচ থেকে ছ’জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে যাচ্ছে। এরপর তিনি তাঁর সঙ্গে থাকা নাইট ভিশন দূরবীনের সাহায্যে দেখতে পান তাদের হাতে লোহার ধারালো অস্ত্র রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলা জওয়ান তাঁর সহকর্মীদের সতর্ক করেন। খবর পেয়েই তাঁরা সীমান্তের দিকে দৌড়ে যান। মহিলা জওয়ানরা চোরাচালানকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে বিএসএফের মহিলা জওয়ানদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে পাচারকারীরা আক্রমণাত্মক ভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে চোরাচালানকারীদের রুখতে এক মহিলা জওয়ান তাঁর রাইফেল থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালান। গুলির শব্দ শুনে চোরাচালানকারীরা ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। মহিলা জওয়ানদের তৎপরতা ও কঠোর নজরদারির ফলে চোরাচালানের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে বিএসএফের তরফে ওই প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী দেশ ও সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সদা সতর্কভাবে মোতায়েন রয়েছে বলেও জানায় বিএসএফ।
মালদহের সীমান্তে বাংলাদেশি চোরাচালাকারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে মালদহের হবিবপুর সীমান্তে গবাদিপশু পাচারের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে চার বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। পরে তাদরকে পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে মালদহের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। সম্প্রতি বৈষ্ণরনগরের সুকদেবপুরে পাচার রুখতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। যা নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল।