Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন। এই ধর্মব্যবসায়ী রাজনীতিকরাই আজ ভারতকে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে চলেছেন। ভারতে তাঁরা এক অস্থির, অন্ধকার যুগ আনতে চাইছেন। ভারতাত্মার শুচিতা এঁরা দিনকে দিন নষ্ট করে দিচ্ছেন। কুম্ভমেলার আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগীবাবু বুক বাজিয়ে বলেছিলেন, ‘কুম্ভে আসবেন ৪০ কোটি মানুষ। আমরা কিন্তু একশো কোটি মানুষের জন্য আয়োজন করেছি।’ এ যে মূঢ়তার কত বড় আস্ফালন, তা বুঝিয়ে দিয়ে গেল কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা। অথচ দেখা গেল কী দেশের সরকার, কী উত্তরপ্রদেশের সরকার, কারও কোনও এ নিয়ে তেমন উৎকণ্ঠা নেই! এই অমানবিকতা, এই হৃদয়হীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের মানুষ। যাঁরা প্রশ্ন করছেন, যাঁরা কাঁদছেন, যাঁরা রাগে রগরগ করছেন, তাঁরা কিন্তু সকলেই হিন্দু। আর এই চরম মুহূর্তে ‘পলায়নই শ্রেষ্ঠ ধর্ম’ বলে মনে করছেন হিন্দুধর্মের স্বঘোষিত মসিহারা। সুতরাং ধিক্কার জানানোর ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন শোকতপ্ত মানুষ।  
সাত-আট কোটি মানুষের জমায়েত সুষ্ঠুভাবে সরকার করতে পারল না। অথচ এমন কুৎসিত ব্যবস্থা নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেন যোগী, যেন কিছুই হয়নি। আট-দশ ঘণ্টার মধ্যে শত শত লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। কিন্তু ঠিক কতজন ধর্মের বলি হলেন? সেটা তো সরকারকে বলতে হবে। যে সরকার প্রতি মুহূর্তে কুম্ভে জনসমাগমের ফিরিস্তি দিচ্ছিল, তারাই মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করতে একের পর এক মিটিং করেছে, কী সাফাই দেওয়া যায় তাই নিয়ে শলা করেছে। অবশেষে প্রায় বারো ঘণ্টা পর তিরিশ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়। 
কেন মৃত্যু? কেন এই অব্যবস্থা? তাই নিয়ে অবশ্য রয়েছে সত্যকে এড়িয়ে নানা ধরনের সাফাই। কুম্ভে উপস্থিত ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, পয়সাওয়ালা পুণ্যার্থীদের থেকে মোটা মোটা টাকা নিয়ে পুলিস প্রশাসন তাদের ভিআইপি সাজিয়ে আগে স্নানে পাঠাচ্ছে। আর তখন সাধারণ মানুষের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জনজোয়ার রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এক সময় তা আছড়ে পড়ে পিষ্ট করে দিয়ে যায় শত শত মানুষকে। এরকম ঘটনায় বারবার প্রমাণিত, এঁরা বুক বাজিয়ে ‘হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা’ বলেন, কিন্তু বিপদের সময় ঘরে সেঁদিয়ে যান। বাইরে এসে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো দৃঢ়তা এঁদের মধ্যে দেখা যায় না। বিপদের দিনে মানুষ চেনা যায়। এই অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের আছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় ঠিক কী ঘটেছিল, মোদি সরকার আজও তার জবাব দিতে পারেনি। কোভিডকালে কতজন মারা গিয়েছেন? এখনও তা নিয়ে মোদি সরকারের মুখে কুলুপ। নোটবন্দি করে দেশের মানুষের কতটুকু উপকার হল? তারও জবাব মেলেনি। নির্বাচনী বন্ড নিয়েও কোনও উত্তর শোনা যায়নি। পুরোটাই চলছে জুমলাবাজি দিয়ে। মোদির যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে চুপ করে থাকার ধর্ম পালন করে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথও। তিনি আবার স্বপ্ন দেখছেন, মোদির পর তাঁর কুর্সি দখল করবেন। কুম্ভমেলায় পুণ্যার্থীরা বলছেন, গোরু নিয়ে যোগীর যেটুকু মমত্ব, তা যদি মৃত ধর্মপ্রাণ মানুষগুলির প্রতি দেখাতেন, তাহলে তাঁদের এই দুর্দশা হতো না।   
সরকার তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। প্রয়াগে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে যোগী সরকারের অপদার্থতায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত দুশো মানুষের মৃত্যুর খবর। এছাড়া দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ। মেলায়, হাসপাতালে, মর্গের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ছবি হাতে তাঁরা তাঁদের নিখোঁজ আত্মীয়স্বজনদের খুঁজে চলেছেন। একদিন আশা ছেড়ে তাঁরা সকলেই যে যাঁর বাড়ি ফিরে যাবেন। পিছনে ফেলে রেখে যাবেন এক ডরপুক সরকারের বিরুদ্ধে চরম ঘৃণা ও অভিশাপ। 
হ্যাঁ, ডরপুক সরকার। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অনেকের আত্মীয়কেই মুচলেকায় সই করিয়ে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করা হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটও মেলেনি। কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা চাপা দিতে কী নির্মম, নিষ্ঠুর প্রয়াস। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের কী চমৎকার পদক্ষেপ! মোদির মতো যোগী সরকারও বারবার তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ২০১৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর সেই নির্মম ঘটনার কথা মানুষ ভুলে যাননি। গোরক্ষপুরের শিশু হাসপাতালে একদিনে ৬৩ জন সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছিল যোগী সরকারের অপদার্থতায়। হাসপাতালে অক্সিজেন সাপ্লাইকারী সংস্থা দীর্ঘদিন তাদের বকেয়া টাকা পায়নি। সেই টাকার পরিমাণ ছিল ৬৮ লক্ষ টাকা। সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগীর ভূমিকা যথার্থ ছিল না। তাঁর ভূমিকা যথার্থ ছিল না হাতরাসে দলিত ধর্ষণের ঘটনায়, উন্নাওয়ের ঘটনাতেও। এমনকী অযোধ্যার মতো তীর্থস্থানে নৃশংসভাবে দলিত কন্যাকে ধর্ষণ করার ঘটনাতেও তিনি গা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
কুম্ভে স্নান খুবই পবিত্র এক স্নান বলে ধর্মীয় মানুষের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের আর অবশিষ্ট রইল কোথায়? কুম্ভ হয়ে উঠল মৃত্যুপুরী! কয়েকজন বলে বসলেন, ‘কুম্ভে এসে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মোক্ষলাভ হল’। কী নির্মম, জঘন্য এবং মৌলবাদী যুক্তি। যাঁরা এমন অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন, তাঁরা নিজেরাই তো মানুষের পায়ের তলায় গড়াগড়ি দিয়ে মৃত্যবরণ করে সস্তায় মোক্ষলাভের ভিসা জোগাড় করতে পারেন। হায়রে ধর্ম! আসলে সব ধর্মের মৌলবাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই নির্বুদ্ধিতা। 
অথচ এই প্রয়াগ, এই সঙ্গম কত পবিত্র স্থান। আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকে এই জায়গাটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মেনে আসা হচ্ছে। পুরাণে কিংবা ইতিহাসে বারবার এসেছে প্রয়াগ প্রসঙ্গ। সমুদ্র মন্থনে উদ্ভুত অমৃত নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বারোদিন ধরে লড়াই চলে। বিষ্ণু মোহিনীরূপ ধারণ করে সেই অমৃত নিয়ে পালানোর সময় অমৃতকুম্ভ থেকে চার ফোঁটা অমৃত পৃথিবীর চার জায়গায় পড়েছিল। এই স্থানগুলি হল প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিক। মনে করা হয়, আদিগুরু শঙ্করাচার্য পুরাণের সেই কাহিনিকে স্মরণ করে কুম্ভমেলার প্রচলন করেন। ঋগ্বেদে প্রয়াগের উল্লেখ আছে। তুলসীদাসের ‘রামচরিতমানস’-এ প্রয়াগের কথা পাওয়া যায়। 
শুধু পুরাণ নয়, ইতিহাসেও প্রয়াগের কথা বারবার এসেছে। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং লিখে গিয়েছেন প্রয়াগে রাজা হর্ষবর্ধনের দান-ধ্যানের কথা। ‘আইনি আকবরি’তে প্রয়াগকে বলা হয়েছে ‘হিন্দুদের তীর্থস্থানের রাজা’।  এছাড়া কামা ম্যাকলিন, জেমস লোৎসফেল্ড সহ বেশ কয়েকজন বিদেশি প্রয়াগ ও কুম্ভ নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা লিখে গিয়েছেন। ইতিহাসের পরিক্রমণে এই পথে  গিয়েছেন বুদ্ধদেব, মেগাস্থিনিস, ফা হিয়েন, সমুদ্রগুপ্ত, মুঘল বাহিনী। এক সময় এই প্রয়াগের নাম ছিল বৎসদেশ। তার রাজধানী ছিল কৌশাম্বী। পরে আকবর এই শহরের নাম দিলে ইলাহাবাস। শাহজাহান এসে সেটা বদলে রাখেন ইলাহাবাদ। ১৮৯৫ সালে মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েনও এসেছিলেন কুম্ভমেলায়। কিন্তু সেই কুম্ভের সঙ্গে এই কুম্ভের পার্থক্য অনেক। যোগীজি ধর্মের সাইনবোর্ডের আড়ালে কুম্ভকে করে তুলেছেন কর্পোরেট কুম্ভ। যেখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মুনাফা তুলবে সরকার।
কুম্ভে দুর্ঘটনা কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগেও হয়েছে। বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু এর আগে কোনও সরকার ডরপুকের মতো সব তথ্য ছুপিয়ে ফেলার নির্মম মানসিকতা দেখায়নি। ১৯৫৪ সালে সমরেশ বসু কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন। তাই নিয়ে তাঁর ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ উপন্যাসটি। সে বছর বিরাট দুর্ঘটনা হয়েছিল কুম্ভে। তিনি লিখেছেন, ‘চারিদিকে শুধু মৃতদেহের স্তূপ। তাকে ঘিরে রয়েছে পুলিসবাহিনী। অপরিচিত নারী ও পুরুষ কণ্ঠলগ্ন হয়ে পিষে মরেছে। শিশু চেপটে লেপটে রয়েছে মায়ের বুকে।... কিন্তু সেই স্তূপে সাধু একটিও নেই। পুলিসের কর্ডন ভেঙে মানুষ ছুটে আসতে চাইছে। খুঁজছে। বউ-মা, বাপ-ছেলে, আত্মীয়-বন্ধু, সবাইকে খুঁজছে, ডাকছে, পায়ে পড়ছে পুলিসের। একজন চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলছে, ‘সব মাতাল সাধুরা এদের খুন করেছে। রাজপুরুষ থেকে শুরু করে সকলের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ক্রোধ বাড়ছে।’ সত্তর বছর আগের সেই ছবিই যেন অন্যভাবে এবার ফিরে এল।  
আজ অসংখ্য অভিযোগে বিদ্ধ যোগী। তিনি একজন গেরুয়াধারী মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজধর্ম পালন এবং গেরুয়া বসনের মর্যাদা রক্ষা করাই তাঁর প্রধান ধর্ম হওয়া উচিত। কুম্ভমেলা ঘিরে যে হাইপ তিনি নিজেই তুলেছিলেন, তাঁর সেই অহমিকার বেলুন শত শত মৃত্যু এসে ফাটিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কুম্ভে উন্মোচিত তাঁর ব্যর্থতা। শত শত পুণ্যার্থীর অশ্রুজলে লেখা থাকবে, যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম।
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে একের পর কোম্পানিকে নাস্তানাবুদ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ভারতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থায় ঝাঁপ পড়েছে।  ...

অনুশীলনে সবার আগেই নেমে পড়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের বাইরে বল বসিয়ে একের পর এক শট রাখছিলেন তেকাঠিতে। হঠাৎই পিছন থেকে দৌড় এসে লিস্টন সেই বল ...

গলব্লাডার স্টোনের অপারেশন প্রাইভেটে করাতে পাড়ার নার্সিংহোম থেকে পাঁচতারা হাসপাতাল ভেদে খরচ পড়ে ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। ...

গ্রামীণ সড়ক তৈরির টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিল নবান্ন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বুধবার কেমন থাকবে শহরের আবহাওয়া?
বাংলায় খামখেয়ালি শীত। ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। আজ, বুধবার সকালে ...বিশদ

11:51:38 AM

এক নজরে উপ নির্বাচনে ভোটের হার (বেলা ১১টা পর্যন্ত)
আজ, বুধবার দিল্লিতে চলছে বিধানসভা ভোট। পাশাপাশি, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের ...বিশদ

11:49:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১৯.৯৫ শতাংশ

11:48:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: ভোট দিলেন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকার

11:48:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: কালকাজি বুথে ভোট দিলেন আতিশী

11:43:45 AM

আলিপুরদুয়ারে অগ্নিকাণ্ড
আলিপুরদুয়ারের নিউ টাউন এলাকায় বক্সা ফিডার রোডে আগুনে পুড়ে ছাই ...বিশদ

11:41:00 AM