Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বাঙালির সাহিত্য, শিল্প, আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি সবকিছুর মধ্যেই তিনি রয়েছেন। জয়রামবাটীর সারদা মাকে সকলে দুর্গা-জগদ্ধাত্রী মানলেও নামের অর্থের দিক থেকে তিনি সরস্বতী। আবার শারদা অর্থাৎ বাঙালির সব থেকে বড় উৎসবের একচালা দুর্গার সঙ্গেও দেবী আছেন কন্যারূপে। এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। সেখানেও রয়েছেন সরস্বতী, তবে নদীরূপে। এখন কলকাতায় চলছে আন্তর্জাতিক বইমেলা। সেখানে সরস্বতীর বরপুত্রদের অর্থাৎ সাহিত্যিকদেরই কদর বেশি। জানতে ইচ্ছা হয়, তাঁরা কীভাবে পালন করেন সরস্বতী পুজোর দিনটি? অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েই শুরু করা যাক। কারণ এই বছর তাঁর জন্মসার্ধশতবর্ষ শুরু হল। আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগেকার কথা। ১৯২৫ সালে সরস্বতী পুজোর তারিখ ছিল ২৫ জানুয়ারি। কাশীতে সেই দিনেই অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথ লাইব্রেরির নবম বার্ষিক সারস্বত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিলেন তিনি।
সদ্য ১২৫ বছর পেরনো সাহিত্যিক বনফুল বা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের কথায় আসি। প্রত্যেক বছর এই দিনে তিনি সরস্বতী বিষয়ক একটি স্তব রচনা করতেন। ১৯৭৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, ঠিক এবছরের মতো সেই দিনও ছিল সরস্বতী পুজো। জীবন সায়াহ্নে সেই রচনায় তিনি লিখেছিলেন, ‘পদ্মাসনা দেবী সরস্বতী,/ আমি ক্ষুদ্র অতি/...ক্ষুদ্র এ প্রণাম...’। তারপরেই তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে সকলকে ছেড়ে চলে যান। দিনটি ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি।
সরস্বতীর বন্দনা করেননি এমন কবি বিরল। কেউ কেউ মনে করেন, মহাকবি কালিদাসের নাম সারদাদাস হলে মন্দ হতো না। নানুরের কবি চণ্ডীদাসের পূজিত বাঁশুলী মূর্তিও সরস্বতীর সমান। আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল পুঁথির প্রথম দিকেই সরস্বতীবন্দনা করেছেন কবি। সেই দেবীমূর্তির হাতে ছিল জপমালা-বীণা। তাঁর সাদা কাপড় বোঝাতে কবি লিখেছিলেন, ‘শুক্ল ধুতি পরিধান’। এই কাব্যে হুগলির মগরার নাম পাওয়া যায়। যেখানে সরস্বতী পুজো দুর্গাপুজোর মতোই সাড়ম্বরে পালিত হয়। 
আসা যাক ‘মেঘনাদবধ কাব্য’প্রসঙ্গে। কবি মধুসূদন এই কাব্য শুরুই করেছিলেন ‘অমৃতভাষিণী’ সরস্বতীর সঙ্গে বলা কথার মাধ্যমে। হিন্দু বা প্রেসিডেন্সির ছাত্র কাশীপ্রসাদ ঘোষের ‘The Shair and Other Poems’ প্রকাশিত হয় ১৮৩০ সালে। সেখানে দেবীকে ‘Fair goddess of the arts’ নাম দিয়ে তিনি অঞ্জলি দিয়েছেন ‘These offerings of our hearts’। এ তো গেল বাঙালির ইংরেজিতে বাণীবন্দনা। এবার আসি খোদ ইংরেজ সাহেবের কথায়। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্স লিখেছিলেন ‘Hymns to Sereswaty’ নামে বিরাট এক সরস্বতীস্তোত্র। শুধুমাত্র সাহেবসুবো কেন? রাজা মহারাজারাও সারদাগীতি লিখেছিলেন। কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ উনিশ শতকে সরস্বতীকে নিয়ে একাধিক ভক্তিগান বেঁধেছেন। একটিতে দেবীর পাদপদ্মে ভোমরা হয়ে মধু পান করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। 
কবিতার কথা শুরু করেছিলাম বনফুলকে দিয়ে। তাঁরই সমবয়সি কাজী নজরুলকে দিয়ে শেষ করি। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত ‘চন্দ্রবিন্দু’ বইটির শুরুই হয়েছে সরস্বতীর দুটি গান দিয়ে। ১৯৩৬ ও ১৯৩৮ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই লিখেছিলেন সে দুটি গান। প্রথমটিতে ব্রহ্ম-বিদ্যা ও শিব-সরস্বতী নামে দেবীর জয়গান করেছেন। পরেরটিতে নির্ভয়ে বীণায় ঝংকার দিতে বলে জানিয়েছেন করুণ আর্তি—‘মৃতজনে সংগীত অমৃত দাও মা’। 
আমরা গল্প শুনতে ভালোবাসি। এবার আসি বিখ্যাত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গল্পকথায়। রবীন্দ্রনাথের মেজোদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার কী কাণ্ডটাই না করেছিলেন! বাড়ির সরস্বতী প্রতিমার উপর দক্ষিণার টাকা গায়ের জোরে ছুড়ে দেন। তাতে ঠাকুরের মুকুট যায় ভেঙে। বড় হয়ে বাল্যকথায় অনুতপ্ত লেখক লিখেছেন, তখন হাতে হাতে শাস্তি না পেলেও পরবর্তীতে ফল ভোগ করতে হয়েছে। বুদ্ধি ও স্মৃতি যেতে বসেছিল তাঁর। সে কারণেই নাকি চাকরির সর্বোচ্চ পদ পাননি—‘সরস্বতী প্রসন্ন থাকলে হাইকোর্টের আসন অধিকার করে পদত্যাগ করতে পারতুম—আমার ভাগ্যে আর তা হ’ল না!’
এবার রবিকথা, সব ব্যাপারে তাঁর ছোট ভাই চলেই আসেন। ঠাকুরবাড়িতেই তাঁর লেখা ‘বাল্মীকি-প্রতিভা’ নাটকের অভিনয় হয়েছিল ২৬ জানুয়ারি ১৮৮১ সালে। বাল্মীকির চরিত্রাভিনেতা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর বরদাত্রী সরস্বতীর ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছিলেন তিনি ছিলেন প্রতিভাসুন্দরী দেবী। রবির সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথের বড় মেয়ে প্রতিভা একাধারে রবির গানের ছাত্রী, আবার তাঁর গানের স্বরলিপিকারও। মাঘোৎসবের মঞ্চে প্রথম আত্মপ্রকাশ করা নারী ছিলেন তিনি। যাই হোক প্রকাশ্য রঙ্গমঞ্চে সেদিন প্রথম অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ এবং বনেদি গৃহস্থকন্যারূপে প্রতিভা। বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন তার দর্শক। রবির সুর দেওয়া বঙ্কিমী বন্দেমাতরম্ গানের স্বরলিপি তৈরি করেছিলেন প্রতিভা। প্রথম বাঙালি মহিলা স্বরলিপিকার, সঙ্গীত সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাত্রীরূপে সত্যি করেই তিনি যেন রাগরাগিণী ও সঙ্গীতের অধিষ্ঠাত্রী সরস্বতী।
প্রবন্ধ ও নাটকের কথা বলা হল। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত পরশুরাম রাজশেখর বসুর ‘ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প’-এর বইটিকে কি বাকি রাখা যায়? সেখানে ‘লক্ষ্মীর বাহন’নামে একটি গল্পের চরিত্রের নাম ছিল সরস্বতীনাথ। 
দেবীর কথা লিখব এদিকে মহিলা সাহিত্যিকদের কথা লিখব না তা হয় না। এই বছর ১৪ জানুয়ারি এমন একজন সাহিত্যিকের শতবর্ষ শুরু হয়েছে, যাঁর নামটাই  হল সরস্বতীর অষ্টোত্তর শতনামের অন্যতম একটি নাম। হ্যাঁ, তিনি হলেন ‘হাজার চুরাশির মা’ মহাশ্বেতা দেবী।
শিল্পী নন্দলাল বসুর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘রূপাবলী’র প্রচ্ছদে স্বয়ং চিত্রকরের আঁকা সরস্বতীকেও আমরা ভুলতে পারি না। ভোলা যাবে না বর্তমান পত্রিকায় আঁকা রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরস্বতীকে। এবার আসব বাগ্‌঩দেবীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বাদানুবাদে। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রে উপন্যাসেও সরস্বতীর কথা এসেছে। মৃণালিনী, রজনী, দেবী চৌধুরানী, আনন্দমঠ, সীতারাম-এ সরস্বতীর কথা থাকলেও আমরা চলে যাব তাঁর কলেজজীবনে। যে সময় তিনি ছিলেন কবি। ১৮৫৩ সালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় লিখে সেইসময় তিনজন কলেজছাত্র রংপুরের দু’জন জমিদারের দেওয়া পুরস্কার পান। কৃষ্ণনগর কলেজের দ্বারকানাথ অধিকারী, হিন্দু কলেজের ছাত্র নীলদর্পণ-এর লেখক দীনবন্ধু মিত্র, হুগলি কলেজের বঙ্কিম। তাঁদের তিনজনের কবিতা প্রতিযোগিতা সেইসময় ‘কালেজীয় কবিতাযুদ্ধ’ নামে পরিচিতি পায়। তিলোত্তমা-দুর্গা নয়, সরস্বতীকে নিয়েই তাঁদের সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। দ্বারকানাথই প্রথম লিখেছিলেন ‘সরস্বতীর মোহিনী বেশ ধারণ’। এর জবাবে দীনবন্ধু ও বঙ্কিমের কবিতার পরে আবার প্রকাশিত হয় দ্বারকানাথের লেখা ‘সরস্বতীর খেদ ও দ্বিতীয় বরপুত্রের সহিত কথোপকথন’। সেখানে সেই দ্বিতীয় বরপুত্র দ্বারকানাথকে সরস্বতীর কাছ থেকে ‘গ্রামের কেশরী’ উপাধি পেতে দেখি আমরা।
বর্তমানে শিক্ষাদেবীর পুজোকে কেন্দ্র করে শিক্ষালয়ে নানারকম অশান্তির কথা শোনা যায়। কিন্তু ১৯২৮ সালে ব্রাহ্ম ধর্মভুক্ত সিটি কলেজের রামমোহন হোস্টেলের সরস্বতী পুজো নিয়ে যা হয়েছিল তা এককথায় অভূতপূর্ব। সেখানে কয়েকজন হিন্দু ছাত্র হঠাৎ পুজো শুরু করলে হিন্দু ও ব্রাহ্ম ধর্মের বিরোধ চরমে ওঠে। হস্টেল সুপার ব্রজসুন্দর রায়, অধ্যক্ষ হেরম্বচন্দ্র মৈত্র নাকি নিগৃহীত হন। ধীরে ধীরে তা সামাজিক আন্দোলনের রূপ নেয়। একটি পুজোকে কেন্দ্র করে দেশের রবি এবং দেশনায়ক সুভাষ নাকি পরস্পরের বিরুদ্ধে নাম না করে বচনে ও লিখনে মত প্রকাশ করেছিলেন। মাঘের পুজোর ঘটনার রেশ ছিল রবির জন্মমাস মে পর্যন্ত। এই আন্দোলনের পরোক্ষ প্রভাবে কলেজের ছাত্রসংখ্যা কমে যাওয়া, তার ফলে ঘটা অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার জন্য কিন্তু আবার চাকরি হারাতে হয় কবি জীবনানন্দকে।
যাই হোক, আমরা এবার মেতে যাব পুজোর আনন্দে। আচ্ছা, মর্তের সরস্বতী পুজোর তো অনেক অভিজ্ঞতা। স্বর্গে বা ইন্দ্রলোকে কীভাবে পুজো হয় সেই কল্পনার কথা জানা যাবে ১৮৮২-৮৩ সালে প্রকাশিত কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা পড়লে। জানি হয়তো অনেকেই এ প্রস্তাবে রাজি হবেন না। স্ক্রিনে অহরহ চলে আসা রিলস দেখা বাঙালির কেউ কেউ পারলে সরস্বতীর হাতেই মোবাইল ধরায়! তবু জেনে নিই কবির ‘কবিতাবলী’র প্রথম খণ্ডের প্রথম কবিতা ‘ইন্দ্রালয়ে সরস্বতী-পুজো’র কথা। চারদিকে বীণাবাদনে এক সুরমুখর পরিবেশ। ইন্দ্রভবনে তখন উপস্থিত হয়েছেন ষড়ঋতুকে সঙ্গে নিয়ে কামদেব, মহাদেব, লক্ষ্মীসহ বাসুদেব, নারদ, কিন্নর, গন্ধর্বরা। ব্রহ্মার কপাল থেকে জ্যোতির্ময়ী সরস্বতীর আবির্ভাব হল। ইন্দ্র দেবীর অর্চনা করলেন, পাঁচমুখে শিব গাইলেন বেদগান, ব্রহ্মা দেবীর হাতে তুলে দিলেন সাদা পদ্ম। বীণাসঙ্গতে, বেদসঙ্গীতে, দেবতাদের জয়গানে মর্তভারতও আনন্দে গেল ভেসে। কবি আশা করেছেন যে ভারতীর আলোতেই ভারতের আঁধার ঘুচবে। এর বহুকাল পরে দেবীর আরাধনা করে আদিকবি হয়ে যাওয়া বাল্মীকি, গ্রিক মহাকবি হোমার, মহাভারতকার ব্যাসদেব, মিলটনের মাধ্যমে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন কবি। তারপর দেবীর কৃপায় স্বনামধন্য হলেন ভারতের কালিদাস, ইংল্যান্ডের শেক্সপিয়র। তাঁরাই তো যুগে যুগে যুগোত্তীর্ণ হয়ে সকল দেশকালের বেড়াকে তুলে দেন। সমগ্র বিশ্বকে জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করেন। সেই জ্ঞানের জ্যোতি গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেন বলেই তো দেবীর নাম সরস্বতী।
লেখক শিক্ষক।  মতামত ব্যক্তিগত
03rd  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
গলব্লাডার স্টোনের অপারেশন প্রাইভেটে করাতে পাড়ার নার্সিংহোম থেকে পাঁচতারা হাসপাতাল ভেদে খরচ পড়ে ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। ...

 এবার সুইডেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলল গুলি! মঙ্গলবারের এই ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ বলে পুলিস জানিয়েছে। ...

গ্রামীণ সড়ক তৈরির টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিল নবান্ন। ...

দীর্ঘদিন আগে গাজল থেকে হিলি পর্যন্ত ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ককে ফোরলেন করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার এখনও জমি দেয়নি। যার জেরে দীর্ঘসময় সময় ধরে প্রকল্পের কাজ ঝুলে রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
একাধিক দাবিতে মাদারিহাটের গ্যারগেন্দা বাগানের চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

12:00:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে আরতি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:58:00 AM

১৬৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

11:57:00 AM

বুধবার কেমন থাকবে শহরের আবহাওয়া?
বাংলায় খামখেয়ালি শীত। ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। আজ, বুধবার সকালে ...বিশদ

11:51:38 AM

এক নজরে উপ নির্বাচনে ভোটের হার (বেলা ১১টা পর্যন্ত)
আজ, বুধবার দিল্লিতে চলছে বিধানসভা ভোট। পাশাপাশি, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের ...বিশদ

11:49:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১৯.৯৫ শতাংশ

11:48:00 AM