Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। আয়কর সংক্রান্ত যে ঘোষণা নির্মলাদেবী করেছেন, তাতে সত্যিই মাসে এক লক্ষ টাকা রোজগেরেদের অনেকটা সুরাহা হবে। কিন্তু এর মাঝেও একটা কঠিন বাস্তব লুকিয়ে আছে। তা হল, বাজেট মানে কিন্তু শুধু আয়করের স্ল্যাব ঘোষণা বা রিবেট দেওয়া নয়। এর পরিধি ঢের বেশি। বাজেটের আক্ষরিক অর্থ যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তা ‘আর্থিক অনুশাসন’। ছোট-বড় সর্বত্র এই অনুশাসনটা দরকার। কোথাও বহর ছোট হয়, কোথাও বড়। একবার নিজেদের সংসারের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আর্থিক অনুশাসন এখানেও পুরোদস্তুর রয়েছে। মাসের শুরুটা ভাবুন। প্রথমেই আমরা একটা হিসেব কষতে বসি। কেমন সেই হিসেব? মোদ্দা ব্যাপারটা হল, বেতন পাওয়ার পর হাতে কত টাকা আছে, আর তার ভিত্তিতে খরচ কী হবে। মাসের বাজার, গ্যাস, পরিচারিকা, বাড়ি ভাড়া বা ফ্ল্যাটের মেইন্টেনেন্স, ছেলেমেয়ের স্কুলের খরচ, যাতায়াত, ওষুধ এবং ইএমআই। এটা মাসের শুরুতেই আমাদের দিয়ে ফেলতে হয়। তারপর কিছু টাকা সরিয়ে রাখতে হয় বিয়েবাড়ি বা অন্য কোনও নিমন্ত্রণের জন্য। বাকি যা থাকল, তা হিসেবের বাইরে খরচযোগ্য, কিংবা ওটাই সঞ্চয়। আমরা, অর্থাৎ আম জনতা প্রত্যেক মাসেই বাজেট করে চলেছি। সোজা কথায়, আর্থিক অনুশাসনে নিজেদের বেঁধে ফেলছি। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বাজেট করছে মানে, সেও কিন্তু নিজের প্রশাসনকে আর্থিক অনুশাসনের মধ্যেই রাখতে চাইছে। তার মধ্যে যেমন আছে আয়ের সংস্থান, ঠিক তেমনই ব্যয়ের হিসেব। বছর শেষে ব্যালান্স শিট তাকে মেলাতেই হবে। একটা সরকারের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ যদি আমার-আপনার সংসার হয়, তাহলে আর একটু বড় ছাঁচ অবশ্যই কর্পোরেট সংস্থা। উল্টে বলা যায়, তাদের সঙ্গেই মিলটা সবচেয়ে বেশি। একটা কোম্পানির সঙ্গে সরকারি বাজেট প্রক্রিয়ার খুব একটা ফারাক নেই বললেই চলে। পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই লর্ড—‘বাজেট প্রক্রিয়া’। বাজেটের ‘প্রয়োগ’ নয় কিন্তু! কারণ, প্রয়োগের শক্ত জমিতে দাঁড়ালে একটি মাঝারি মাপের সংস্থাকেও এতটুকু ফাঁক রাখলে চলে না। সেটাই সরকারি বাজেটে বিস্তর থাকে। কীভাবে? তলিয়ে দেখা যাক। 
ধরে নিলাম, ‘ক’ নামে একটি সংস্থা আছে। সেখানে ৩০০ লোক কাজ করে। প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকা তাদের টার্নওভার। তাদের ম্যানেজমেন্ট হল সরকার, আর কর্মীরা হল নাগরিক। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন অর্থবর্ষের শুরুতেই আয়-ব্যয়ের হিসেব করে, বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ করে, ‘ক’কেও তাই করতে হয়। প্রথমেই দেখতে হয়, ফেলে আসা বছরে তার উৎপাদন কিংবা পরিষেবার বহর কতটা ছিল, মার্কেটে ডিমান্ড কী ছিল, আয় কেমন হয়েছে, আর ব্যয়ই বা কতটা। অর্থাৎ, শুরুতেই লাভ অথবা লোকসানের হিসেবটা হয়ে যায়। সেই অনুযায়ী আগামী বছরের জন্য টার্গেট সেট করতে হয় তাকে। যাবতীয় রিস্ক ফ্যাক্টরও এর মধ্যে ধরা থাকে। বছরভরের রানিং কস্ট মেপে নিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় আয়ের টার্গেট। খরচ কেমন হয়? দু’ধরনের—এককালীন এবং মাসের। কোন কোন দপ্তরের জন্য এককালীন টাকা লাগবে, সেটার হিসেব কষা হয় আগে। তারপর কর্মীদের বেতন, অফিস চালানোর জন্য ইলেকট্রিক বিল, মেশিন সহ যাবতীয় মেইন্টেনেন্স খরচের মাসিক হিসেব। সেই মতো বরাদ্দ হয় অর্থ। কোন অ্যাকাউন্ট থেকে কোন খাতের টাকা যাবে, সেটা ঠিক করে অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হয়। আর এক দফার বাজেট করতে হয় দূরেরটা ভেবে। যেমন, ৩০ কোটি টাকা দামের যে মেশিন উৎপাদন করছে, সেটা তো সারা জীবন চলবে না! ধরা যাক, আজ থেকে ১০ বছর পর তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু এই ১০টি বছর ধরেই একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক হিসেব কষে ওই খাতে সরিয়ে রাখতে হয়। এটাও কোম্পানি বাজেটের একটা বড় অংশ। সরকারের বাজেটের সঙ্গে মিলিয়ে একে পরিকাঠামো খাতে খরচ বা ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বলে ভাবা যেতেই পারে। আর নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়াটাকে কর্মীদের বেতন, স্বাস্থ্যবিমা, বোনাস ভেবে নিলে খুব ভুল হবে না। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে একটি দায়িত্বশীল সংস্থার ফারাক কোথায় হয়? হঠাৎ ১০০ দিনের কাজের টাকা সরকার বন্ধ করে দিলে আম জনতা সংসদে ভাঙচুর চালায় না। কিন্তু সংস্থার বেতন বন্ধ হয়ে গেলে? কর্মীরা কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না। আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড দেখিয়ে রোগী হাসপাতালে বেড না পেলে ঘটিবাটি বেচেও বাড়তি টাকা দিয়ে সে নার্সিংহোমে ভর্তি হবে। কর্পোরেট মেডিক্লেমের টাকা না পেলে কিন্তু কর্মী তার সংস্থার ম্যানেজমেন্টের কেবিনের দরজা ভেঙে দিয়ে আসতে দু’বার ভাববে না! নির্মলা সীতারামন গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করতে পারবেন, চলতি অর্থবর্ষে সরকারের আয়ের ২৪ শতাংশ এসেছে ঋণ থেকে। কিন্তু একটি সংস্থা যদি তার ৫০ কোটি টাকা আয়ের ১২ কোটি টাকা ঋণ দেখায়, কয়েক বছরের মধ্যে সেখানে লাল বাতি জ্বলে যাবে। নির্মলাদেবী বাড়তি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলবেন, ‘টাকা তো দুর্বল হচ্ছে না! ডলার শক্তিশালী হচ্ছে।’ কিন্তু ‘ক’ সংস্থাটিকে ওই শক্তিশালী ডলার দিয়েই বিদেশ থেকে কাঁচামাল কিনতে হবে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। অথচ মার্কেটে চাহিদা না থাকলে পণ্যের দামও সে বাড়াতে পারবে না। সোজা কথায়, লাভ কমবে এবং লোকসান বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের করের টাকা দিয়েই সরকার আমাদের জন্য ঘোষিত প্রকল্পের বরাদ্দ ঠিক করে। কোম্পানিকে কিন্তু তার পণ্য বা পরিষেবা বাজারে বেচেই কর্মীদের জন্য বেতন জোগাড় করতে হবে! 
এই বিরাট তালিকা ধরে পার্থক্য বোঝানোর কারণ কী? একটাই—চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যে, সরকারেরটা হল দায়। আর সংস্থার? দায়বদ্ধতা। সরকার একটা প্রকল্প ঘোষণা করে তা বেমালুম চেপে যেতে পারে। বরাদ্দ তো হয়েই রয়েছে। প্রকল্প কার্যকর না হলে ওই টাকাটা সরকারের কোষাগারে থেকে যাবে। এবার সেটা দিয়ে অর্থবর্ষের শেষে নির্দ্বিধায় বাজেট ঘাটতি কম দেখানো সম্ভব। কিংবা কোনও রাজ্যে যদি ভোট আসন্ন হয়, তাদের জন্য আলাদা প্যাকেজে সেটাই টাকা ‘সাইফন’ করে দিতেও অসুবিধা হবে না। অর্থাৎ, এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে লেগে গেল। উল্টে ভোটেও নম্বর বাড়ল। প্রতিশ্রুতির ধাপ্পা না দিতে পারলে এই টাকাটা কি উঠবে? তার উপর লাগাতার ভোটের ঘোষণা চলছে... আড়াই হাজার টাকা মহিলাদের ভাতা, বাসে ভাড়া লাগবে না, বিদ্যুৎ ফ্রি... কোথা থেকে আসবে এসবের খরচ? আকাশ থেকে তো পড়বে না। বিজেপি, কংগ্রেস বা আম আদমি পার্টি নিজেদের পকেট থেকেও দেবে না। তার মানে, অন্য কোনও খাতের বরাদ্দ চুপিসারে ঢুকে যাবে রাজনীতিতে। তাই নয় কি?
এবারের বাজেট নরেন্দ্র মোদিকে দিল্লি ভোটে ডিভিডেন্ড দেবে বলেই মনে করছে বিজেপি। রাজধানীর ভোটারদের একটা বড় অংশের মাসিক আয় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার বেশি। এর নীচের চাকরিজীবীদের এমনিতেই এতদিন নতুন কাঠামোয় আয়কর দিতে হতো না। এবার ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের নাগরিকরাও এই সুবিধা পাবেন। মোদি সরকারের ইঙ্গিত এবার স্পষ্ট, যা করার করে দিয়েছি। এবার পালা মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের। এখন খরচ করুক! মোবাইল ফোন কিনুক, টিভি, ফ্রিজ, গয়না, গাড়ি, বাড়ি... মাসে ৭-৮ হাজার টাকায় এইসবের ইএমআই তো হয়েই যাবে। তাহলেই তো অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। কিন্তু পেট্রল-ডিজেলের দামের জন্য সব্জি, মাছ এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের পরিবহণ খরচ বাড়ছে! সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক আরও কত খরচ। সেই কারণেই তো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তার উপর জিএসটির বোঝা। একই জিনিসের রূপ বদলে জিএসটি বেড়ে যাচ্ছে। চালে জিএসটি, খাতায়, পেনে, শিশুর দুধে, বিমায়, ওষুধেও জিএসটি। লাভের গুড় তো শেষমেশ সরকারই খেয়ে যাবে। যে প্রেশারের ওষুধ এক বছর আগেও ৮৫-৯০ টাকা ছিল, সেটাই এখন ১২৫ টাকা। যে চালের দাম ৪০ টাকা কেজি ছিল, সেটা এখন ৪৮ টাকা। কিন্তু এই এক বছরে মূল্যবৃদ্ধির লাফের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আয় পাল্লা দিতে পারছে কি? যে মানুষটা ২০১৪ সালের মতো এখনও হাজার টাকা পেনশন পান, তাঁর ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হবে কীভাবে? যাঁরা বেশি টাকা আয় করেন, তাঁরা ছাড়া অন্যদের কি ভোগ্যপণ্য কেনার অধিকার নেই? সমাজে, সরকারে, অর্থনীতিতে তাঁদের কি একেবারেই কোনও ভূমিকা নেই? সরকারের এসবে কিছুই আসে যায় না। জাহান্নমে যাক সাধারণ মানুষ। শুধু একবার উঁকি মেরে দেখে নিতে হবে, ওই মানুষটির রাজ্যে কাছাকাছি কোনও সময়ে ভোট আছে কি না। করছাড় দিয়ে যদি এক লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়, তাহলে জানবেন, সরকার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে এই টাকাটা কোথা থেকে ভরপাই হবে। প্রশ্ন হল, এই ক্ষতি কে পুষিয়ে দেবে? আমরা। আম জনতা। আমাদের করের টাকাতেই জনপ্রতিনিধিদের মাইনে বাড়বে, তাঁরা গাড়ি-বাড়ি পাবেন, তেল খরচ, সারা জীবনের জন্য ফ্রি গ্যাস সিলিন্ডার এবং পেনশন। আর সবিতা বাউরি উজ্জ্বলার কানেকশন করানোর পর ফিরে যাবেন সেই কাঠের জ্বালানিতে। গ্যাসের সিলিন্ডার কেনার টাকাটাই যে তাঁর কাছে নেই! বছর পঁচিশের অমিত বিশ্বাস একের পর এক দরজায় কড়া নাড়বেন চাকরির আশায়। সরকার কিংবা বেসরকারি... বোর্ড ঝুলবে ‘নো ভ্যাকেন্সি’র। তখন তাঁর কানে বাজবে একটা বাজেট ঘোষণা... ২ কোটি ৯০ লক্ষ চাকরির। 
04th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
অনুশীলনে সবার আগেই নেমে পড়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের বাইরে বল বসিয়ে একের পর এক শট রাখছিলেন তেকাঠিতে। হঠাৎই পিছন থেকে দৌড় এসে লিস্টন সেই বল ...

গ্রামীণ সড়ক তৈরির টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিল নবান্ন। ...

দীর্ঘদিন আগে গাজল থেকে হিলি পর্যন্ত ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ককে ফোরলেন করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার এখনও জমি দেয়নি। যার জেরে দীর্ঘসময় সময় ধরে প্রকল্পের কাজ ঝুলে রয়েছে। ...

গলব্লাডার স্টোনের অপারেশন প্রাইভেটে করাতে পাড়ার নার্সিংহোম থেকে পাঁচতারা হাসপাতাল ভেদে খরচ পড়ে ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
একাধিক দাবিতে মাদারিহাটের গ্যারগেন্দা বাগানের চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

12:00:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে আরতি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:58:00 AM

১৬৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

11:57:00 AM

বুধবার কেমন থাকবে শহরের আবহাওয়া?
বাংলায় খামখেয়ালি শীত। ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। আজ, বুধবার সকালে ...বিশদ

11:51:38 AM

এক নজরে উপ নির্বাচনে ভোটের হার (বেলা ১১টা পর্যন্ত)
আজ, বুধবার দিল্লিতে চলছে বিধানসভা ভোট। পাশাপাশি, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের ...বিশদ

11:49:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১৯.৯৫ শতাংশ

11:48:00 AM