কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নবম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের পাশাপাশি হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমাতেও তা হয়েছে। জেলায় ৫৪৪৮টি শিবির হয়। তারমধ্যে প্রত্যেক ব্লকে স্থায়ী ক্যাম্প হয়েছে ১৭২২টি। এছাড়া ভ্রাম্যমান শিবির হয়েছে ৩৭৬৮টি। প্রত্যেক ব্লক এলাকাতেই এমন ক্যাম্পগুলির আয়োজন করে প্রশাসন। প্রত্যেক শিবিরে বার্ধক্যভাতা পেতে আবেদন বেশি জমা পড়ে।
৬০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া উপভোক্তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যভাতা পেতে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু অনেকেই তা পাচ্ছিলেন না। তাই বৃদ্ধবৃদ্ধাদের দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে আবেদনের আহ্বান জানায় প্রশাসন। সেজন্য জেলায় লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রতি দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীন আরামবাগের বাতানলে জেলাশাসক পাড়াবৈঠক কর্মসূচি করেন। সেই শিবিরে জেলাশাসককে কাছে পেয়ে বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেন। জেলাশাসক তাঁদের দুয়ারে সরকারে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করানোর অনুরোধ করেন। লক্ষ্মীরভাণ্ডার প্রকল্পেও জেলায় নতুন আবেদন এসেছে ২৯ হাজার ৫১৮ জনের। এছাড়া কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬৭৫৬জন আবেদন করেছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতেও আবেদন এসেছে ২৪ হাজার ২৪৭ জনের। আরামবাগ পুরসভাতেও বিভিন্ন শিবিরগুলিতে ২৬৮৬ জন গিয়েছেন। সেখানকার বাসিন্দারাও বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদন করেছেন।
নবম দুয়ারে সরকারে ১৮টি দপ্তরের ৩৭টি প্রকল্পের সুবিধা দিতে শিবির করে প্রশাসন। বিভিন্ন শিবিরে অভিনব সচেতনতামূলক কর্মসূচিও নেয় প্রশাসন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করা প্রকল্পগুলির পরিষেবা প্রদানের টার্গেট দিয়েছে রাজ্য। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, যেসব প্রকল্পের পরিষেবা জেলা থেকেই দেওয়া সম্ভব তার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমোদন নিতে আবেদন করা হচ্ছে। গোঘাট-১ এর বিডিও সম্রাট বাগচী বলেন, লক্ষ্মীরভাণ্ডার প্রকল্পে নতুন আবেদনকারীরা আবেদন করছেন।