Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান। 
চীন অপেক্ষা করছে। দেশটি ধৈর্যশীল। চীন এই অহংকার করে না যে তারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, কিংবা বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য দেশটি দিনক্ষণও নির্ধারণ করে না। একটি উদীয়মান শক্তিকেন্দ্রের জন্য এটি অবশ্যই বিরল গুণ। অন্যদিকে, চীন কোনও গণতন্ত্র নয় এবং গণতান্ত্রিক পরিসরে সুলভ স্বাধীনতা ওই দেশের মানুষজন ভোগ করার সুযোগ পান না। উল্টো দিকে, মোটামুটিভাবে ভারত একটি গণতন্ত্র। তবে বড্ড বেশি হট্টগোল চলে এবং ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। ভারতের আর একটি সমস্যা হল, এখানে ভীষণ আগাম উদযাপন হয়ে থাকে।  এই প্রসঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪-এর পদক তালিকার দিকে চোখ রাখা যেতে পারে:
পদকের এই বহর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের তুলনায় ভারতেই বেশি খুশির জোয়ার দেখেছি বইকি! 
বৈপরীত্যপূর্ণ ঘোষণা 
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর ‘টহল ব্যবস্থা’ নিয়ে দিনকয়েক আগে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি সংক্রান্ত ঘোষণা নিয়ে অবশ্য বৈপরীত্য ধরা পড়ল। ২০২০ সালের মে মাসে দু’দেশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারপর এটিই প্রথম অগ্রগতি। ভারতের তরফে বিদেশসচিব একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বক্তব্য জানান। অন্যদিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন বিদেশমন্ত্রী। এছাড়া ভারতের সেনাপ্রধান একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছি আমরা।’ তবে, সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘আমরা ২০২০ সালের এপ্রিলের স্থিতাবস্থায় (স্টেটাস কো অফ এপ্রিল ২০২০) ফিরে যেতে চাই। তারপরে, আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার, উত্তেজনা প্রশমন এবং স্বাভাবিকতা ফেরাবার দিকে নজর দেব।’  
অন্যদিকে, চীনের তরফে তাদের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র একেবারে বাস্তব পরিস্থিতির উপর একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে চীন ও ভারত তাদের কূটনৈতিক ও সামরিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে রয়েছে। প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিতে বর্তমানে উভয় পক্ষই একটি সমাধানে পৌঁছেছে এবং চীন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মূল্যায়ন করেছে তার। চীন, পরবর্তী ধাপে, উপরের সমাধান বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করবে।’ (টাইমস অফ ইন্ডিয়া) চৈনিক মুখপাত্র অবশ্য এই ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন।
আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে
অবস্থানট‍া গত রবিবার পর্যন্ত যেখান ছিল, স্মরণ করলে কাজে লাগবে। চীনের লাল ফৌজ (পিএলএ) ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ এলএসি অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকে। চীনা সৈন্যদের এই অনুপ্রবেশের ব্যাপারটা ভারত প্রথম টের পায় ২০২০ সালের ৫ মে। অনুপ্রবেশকারীদের সরাতে গিয়ে দু’পক্ষের লড়াইতে ভারত তার ২০ জন বীর সেনাকে হারায়। ওই ঘটনায় তাদের তরফে হতাহতের সংখ্যা চেপে যাওয়া হলেও চীনকেও কিছু সংখ্যক সেনা জওয়ানকে হারাতে হয়েছিল। এই বিষয়ে সে-বছর ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সর্বদল বৈঠক ডাকেন। বক্তব্য শেষ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়, ‘বাইরের কেউই ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেনি এবং ভারতের অভ্যন্তরে কোনও বহিরাগত নেইও।’ কিন্তু অনেক সামরিক কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞের মতে, আমাদের প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গার উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ আর নেই, অথচ ওইসব অঞ্চলে আমাদের সৈন্যরাই আগে টহল দিতে পারত!
নির্মম বাস্তব এটাই যে, পুরো গলওয়ান উপত্যকার উপর চীন তার দখলদারি চায়। তাদের দাবি হল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা গিয়েছে ফিঙ্গার ৪ বরাবর, ফিঙ্গার ৮ ধরে নয়। হট স্প্রিংয়ের দাবি থেকেও চীন বিন্দুমাত্র সরেনি। ভারত কেবলমাত্র ডেমচোক এবং ডেপসাং নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু চীন সেটাও প্রত্যাখ্যান করেছিল। আকসাই চীনে এবং ভারতের সঙ্গে তাদের যে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, তার পুরোটা জুড়েই সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চীন। অন্যদিকে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত ভারত বসিয়েছে ৫-জি নেটওয়ার্ক। প্যাংগং হ্রদের উপর একটি সেতুও নির্মাণ করা হয়েছে। সীমান্তে কিছু সামরিক সরঞ্জাম এবং কয়েক হাজার সৈন্যও মোতায়েন রেখেছে ভারত।
আমাদের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঘোষিত সরকারি অবস্থান হল, পূর্বের স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সরকার ধারাবাহিকভাবে ‘সেনা প্রত্যাহার’ (ডিসএনগেজমেন্ট), ‘উত্তেজনা প্রশমন’ 
(ডি-এস্কালেশন) ‘সেনা সরানো’ (ডি-ইনডাকশন) এবং ‘প্রত্যাহার’ (উইদড্রয়াল)-এর মতো শব্দগুলি ব্যবহার করেছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, বিদেশমন্ত্রক ‘পূর্বের স্থিতাবস্থায়’ (স্টেটাস কো অ্যান্টি) শব্দটি ব্যবহার করেনি। সরকার 
প্রশংসনীয় ধৈর্য ও অধ্যবসায় দেখিয়েছে। যদি 
সত্যিই একটি চুক্তি হয়—তখন ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে টুকুই বলতে পছন্দ করে চীন। চীনের মতিগতি বোঝাই দায়—এই প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে টহল দেওয়ার ব্যাপারটি হবে সরকারের জন্য 
একটি পুরস্কার।
শেষ কিংবা শুরু নয়
মনে হচ্ছে দুই দেশ টহল দেওয়ার ব্যাপারেই একমত হয়েছে, তার বেশি কিছু নয়।
দেখা যাচ্ছে যে, দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমন্বয়ের ভিত্তিতে মাসে দু’বার করে সেনা টহল চলবে। তবে সৈন্যের সংখ্যা সীমিত থাকবে পনেরোতে। এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সমতলের ডেমচোক এবং ডেপসাং অন্তর্ভুক্ত কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০১৭ সালে একটি চুক্তি হওয়ার পরেও পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এলাকাটি চীন পুনরায় দখল করেছে এবং সেখানে তাদের উপস্থিতি জোরদার করেছে। অন্যদিকে সমতলের ডেপসাংয়ে ওয়াই-জংশনের বাইরের দিক থেকে এবং ১০, ১১, ১১এ, ১২, ১৩ প্রভৃতি ট্র্যাডিশনাল পেট্রলিং পয়েন্টে ভারতীয় সৈন্যদের প্রবেশ চীন রুখে দিয়েছে। আমাদের হশাতার আরও দিকগুলি হল—গলওয়ান, প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীর এবং হট স্প্রিং। এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়াটা নিছকই একটি বিশ্বাস। অবিশ্বাসের চোরাস্রোত এখনও বহমান।
ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে গত চারবছরে সংসদে একবারের জন্যও আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের একটি দুঃখজনক দিক। চীনের সঙ্গে পেট্রলিং ডিল বা টহল চুক্তির বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনেরই পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে কংগ্রেস প্রাসঙ্গিক এবং স্পষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করলেও অন্য বিরোধী দলগুলি কিন্তু চুপ! অক্টোবরের ঐকমত্য কি বিশদ আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও চীনকে একটি যথার্থ সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে? এই ব্যাপারে যা’ই বলবেন তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
28th  October, 2024
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
একনজরে
পৌষ পেরিয়ে বিয়ের মরশুম শুরু হতেই ফের বাড়ল সোনার দাম। শুক্রবার তা আরও একবার ৮০ হাজার টাকা ছুঁল। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ...

সিপিএমের তাবড় নেতৃত্ব দিল্লিতে পড়ে থাকলেও রাজধানী শহরেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয় বাম দলগুলিকে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যদিও লড়াই শুরুর আগেই জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় কম্পমান বাম নেতৃত্ব।  ...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই’র সাহায্যে চাষের জমিতে কীটনাশক বা সার দিতে পারবেন কৃষকরা। কীভাবে এই কাজ সম্ভব, কৃষিমেলায় মডেলের মাধ্যমে তা হাতেকলমে করে দেখানো হচ্ছে। ...

ভারতের অর্থনীতির ঝিমুনি ধরা পড়েছে একাধিক পূর্বাভাসে। এবার তাতে নতুন সংযোজন বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। সেখানেও ধরা পড়ল দুর্দশার চিত্র। চলতি আর্থিক বছরে এদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে থমকে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে তারা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৮: ব্রিটিশ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক হাওয়াই দ্বীপ আবিষ্কার করেন
১৮৫৪: আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের সহকারী তথা টেলিফোন আবিষ্কারের অন্যতম প্রবর্তক  টমাস আউগুস্তুস ওয়াটসনের জন্ম
১৮৬২: বঙ্গীয় আইন পরিষদ গঠিত হয়
১৯৩৮: সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন
১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৪৮: হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা বন্ধ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধী তার ১২১ ঘণ্টার অনশনের অবসান ঘটিয়েছিলেন
১৯৫০: ভারত ধর্মনিরপক্ষ গণরাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়
১৯৫১: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব যতীন্দ্রমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৫৪: বিশিষ্ট মূকাভিনয় শিল্পী পার্থ প্রতিম মজুমদারের জন্ম
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
১৯৯৭: একাকী এবং কারো সাহায্য ছাড়াই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০০৬: সংযুক্ত আবর আমিরাতে প্রথম কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
২০১৮: বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু
২০২২:  কিংবদন্তী কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী নারায়ণ দেবনাথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৭ টাকা ১০৭.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৯ টাকা ৯০.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ মাঘ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী অহোরাত্র। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ২১/১৩ দিবা ২/৫২। সূর্যোদয় ৬/২৩/২, সূর্যাস্ত ৫/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/১২ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১/৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
৪ মাঘ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী অহোরাত্র। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৩/২৭। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৮ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/৯ গতে ২/২৯ মধ্যে ও ৩/৫০ গতে ৫/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫০ মধ্যে ও ৪/৪৭ গতে ৬/২৬ মধ্যে। 
১৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সইফের উপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা থানায় জবানবন্দি দিলেন করিনা

17-01-2025 - 10:59:00 PM

গুয়াহাটিতে একটি বৈঠক করলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

17-01-2025 - 10:29:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন অমিত শাহ

17-01-2025 - 10:03:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে বৈঠক শেষ করে ফিরছেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত

17-01-2025 - 09:52:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, জামশেদপুর ১-মোহন বাগান ১

17-01-2025 - 09:31:00 PM

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট

17-01-2025 - 09:21:00 PM