পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
উত্তর: তিনি শুনতে পাচ্ছেন কি না বুঝতে পারবে না। তাঁকে ডাকা correct বা incorrect হচ্ছে কিনা—এই নিয়ে ভেবো না। যেভাবেই তাঁকে ডাক না কেন তিনি বুঝতে পারবেন। আমরা যতই ভুল করি না কেন, তিনি ঠিকই বুঝতে পারেন। অনেকে মনে করে মন্ত্র ভুল বলেছি, তাই কাজ হচ্ছে না, তিনি কি ভূত-প্রেত নাকি যে মন্ত্রের বশ হবেন? তিনি কি জানেন না যে আমরা তাঁকেই ডাকছি? ছেলে যখন ‘বাবা’ বলে স্পষ্ট করে উচ্চারণ করতে পারে না, তখন বাবা কি বুঝতে পারেন না যে ছেলে তাঁকেই ডাকছে? এজন্য সঠিকপথে এগিয়ে যাবার জন্য প্রথম প্রথম ভাবের আরোপ করতে হয়। সাধুদের কথা চিন্তা করতে হয়, তাঁদের পবিত্র জীবনীগ্রন্থ পড়তে হয়—এটি সাধুসঙ্গ, এতে ছোঁওয়া লাগে। সৎসঙ্গে মনটাও সেই ভাবে ভাবিত হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ যেন জ্বলন্ত আগুন, সেখানে একটা ভিজে কাঠ দিলেও তা জ্বলে উঠবে। সামান্য অধিকারী হলেও সে তাঁর কৃপায় পূর্ণ হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: ভগবানের দিকে এগোব কি করে?
উত্তর: ভগবানকে যত আপনবোধ হবে, মন যত শুদ্ধ হবে, তত এগোন যায়। ভগবান যে রকম পবিত্র, শুদ্ধ, যদি নিজেকে তেমন পবিত্র, শুদ্ধ মনে কর তবেই তাঁর দিকে ক্রমশ এগোচ্ছ বুঝতে হবে।
প্রশ্ন: ভগবানের দিকে এগোচ্ছি কিনা বুঝব কি করে?
উত্তর: তাঁর সম্বন্ধে মনে যে সন্দেহ থাকে, সংশয় থাকে তা চলে যাবে। তুমি সত্যনিষ্ঠ হতে পারবে, সকলের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হতে পারবে। তাঁর প্রতি আকর্ষণ বাড়বে, বিষয়ের আকর্ষণ কমবে। ভগবানের দিকে এগোলে এইগুলি হয়।
প্রশ্ন: ভগবানকে না দেখলে কি বিশ্বাস হয়?
উত্তর: তোমরা কেউ ঠাকুরদাদার বাবাকে দেখেছ? ঠাকুরদাদার বাবা ছিলেন বলে বিশ্বাস হয়? ঠাকুরদাদাকে অনেকে দেখে, ঠাকুরদাদার বাবাকে সবাই দেখে না। “He, who has seen the son has seen the father.” বাইবেলে আছেঃ “He that hath seen me hath seen the Father”. সত্যিকারের ভক্তের ভিতরে ভগবানের স্বরূপের অল্পবিস্তর প্রকাশ হতে থাকে। কাজেই ভগবানকে জানতে হলে ভক্তের সঙ্গ করতে হয়।
প্রশ্ন: ভগবানকে কি করে দর্শন করব?
উত্তর: আমরা বলি ভগবানকে দর্শন করব, কিন্তু কোথায় গিয়ে তাঁকে দর্শন করতে হবে? আমরা মুখে বলি ভগবান সর্বত্র আছেন, তবু জিজ্ঞেস করি কোথায় যেতে হবে? আমাদের দেখার যন্ত্রকে পরিষ্কার করলে তবেই তাঁকে দর্শন করা যায়। ঠাকুর বলছেন—‘চোখ বন্ধ করলেই তিনি, আর চোখ খুললে তিনি নেই?’ ধ্যান করলে তিনি আর ধ্যান না করলে তিনি নেই! অতএব সবার আগে মনরূপ যন্ত্রকে শুদ্ধ করতে হয়।
প্রশ্ন: অবতার পুরুষকে দেখাই কি ঈশ্বর দর্শন?
উত্তর: সাধারণ মানুষ ঈশ্বরকে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারে না।