পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
তোমার ভিতরে বা তোমার বালক ও যুবক বন্ধুদের ভিতরে পবিত্রতার প্রতিষ্ঠাই সব নহে, তোমার ভগিনীটীর ভিতরেও ত্যাগ, তপস্যা, সংযম ও ব্রহ্মচর্য্যের প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। বহু মহাপুরুষ নারীজাতির নিন্দা করিয়াছেন। কেমন নারী? যে নারী নিজ জীবন গঠন করে নাই বলিয়াই পুরুষের প্রলোভন-বর্দ্ধির্নী, আত্মসংযম অভ্যাস করে নাই বলিয়াই প্রিয়জনেরও অমঙ্গল-কারিণী, মনুষ্যজন্মের দায়িত্ব ও মহিমা উপলব্ধি করিতে পারে নাই বলিয়াই পুরুষের অন্তরে লালসা-হলাহল-সঞ্চারিণী। তোমার ভগিনীটীকে তুমি এই শ্রেণীর নারী হইতে পৃথক্ করিয়া গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করিও। দৃষ্টিতে তাহার তপস্যার অগ্নি চতুর্দ্দিকে ছড়াইয়া পড়ুক, কণ্ঠে তাহার তপস্যার মধুরতা দিগ্দেশ আচ্ছন্ন করুক, সান্নিধ্যে তার অপবিত্রতার উচ্ছ্বসিত সাগর-তরঙ্গ স্তব্ধ হউক। এমন শিক্ষা দাও, যেন তাহার দৃষ্টির পবিত্রতা ত্রিভুবনকে স্নিগ্ধ করে, পাপতাপহীন করে, জান্তব-তাণ্ডব হইতে পরাঙ্মুখ করিয়া দেবত্বের সাত্ত্বিকতায় বিমণ্ডিত করে। তাহার মুখের বাক্য যেন জননীর স্নেহ দিয়া পশুর পশুত্বকে ঘুম পাড়ায়, তাহার বুকের নিঃশ্বাস যেন শত যোজন দূরে তাহার অলঙ্ঘনীয় মহিমাকে নিয়া বিস্তারিত করিয়া দেয়। যে তাহাকে দেখিয়াছে, সে যেন পাপ ভোলে, নবজন্ম পায়; যে তাহার চিন্তাটুকুও করিয়াছে, সে যেন জীবনের সহস্র ব্যর্থতায় পদাঘাত করিয়া নূতন করিয়া জীবন-সংগ্রামে ঝাঁপাইয়া পড়িতে সাহস পায়, প্রেরণা পায়। তবেই ভারত পুনরায় সোনার ভারতে পরিণত হইবে। ভগবানকে কর তুমি তোমার জীবনের কেন্দ্র। তোমার শরীরের প্রতিটি অণু-পরমাণুতে যৌবন আসিয়া ডাক ছাড়িতেছে,—“আমি আসিয়াছি”। তুমিও তাহার সঙ্গে সঙ্গে ডাক ছাড়িয়া বলিতে সমর্থ হও,—“আমার দেহ-মন্দিরে ভগবানও আসিতেছেন। যৌবনকে তুমি সম্বর্দ্ধনা কর, তোমার জীবনের বসন্তকে তুমি ব্যর্থ যাইতে কেন দিবে? যৌবন কেবল দেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পিক-কুল-কুজনই জাগাইতে আসে নাই, তোমাকে ভগবানের প্রেমে মজাইতে এবং মাতাইতেও আসিয়াছে।