উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
যে-দেশে চিত্রটা এতটা ভয়ানক, সেই দেশেই এক বিপরীত দৃষ্টান্ত রাখলেন রাজস্থানের এক যুবক। বিএসএফ জওয়ান জিতেন্দ্র সিং। তিনি বিবাহ করলেন জয়পুরের এক আইনজীবী কন্যাকে। কন্যাটি আইনে মাস্টার এবং ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। বিবাহবাসরে জিতেন্দ্রের জন্য ‘অফার’ ছিল ১১ লক্ষ টাকার পণ এবং উপযুক্ত পরিমাণ সোনার অলঙ্কার, খাটপালঙ্কসহ নানা লোভনীয় সামগ্রী। সকলকে অবাক করে দিয়ে জিতেন্দ্র ওই বিপুল অর্থ ও অস্থাবর সম্পদ গ্রহণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। পরিবর্তে চেয়ে নেন মাত্র ১১টি টাকা এবং একটি নারকেল! পাত্রীপক্ষের সবাই প্রমাদ গুণল। তারা ভেবে বসল যে, পাত্রকে যে পরিমাণ অর্থ ও সোনাদানা অফার করা হয়েছে তা পাত্রপক্ষের মনঃপূত হয়নি। তাই পাত্রীপক্ষকে ঘুরিয়ে অপমান করতেই জিতেন্দ্র এমন আচরণ করছেন। ভুল ভাঙালেন পাত্র নিজেই। তিনি সকলকে বুঝিয়ে বললেন যে, তিনি যেটা করছেন সেটা খুশি মনে এবং অন্তর থেকে। এর মধ্যে অভিমান মান অপমানের কোনও বিষয় নেই। তিনি যৌতুক বা পণপ্রথাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করেন। যৌতুক না-নিয়ে বিবাহ করার ‘পণ’ নিয়েই তিনি বড় হয়েছেন। হবু বধূ উচ্চ শিক্ষিতা। এটাই তাঁর গর্ব। এটা তাঁর কাছে আর্থিক যৌতুকের চেয়ে অনেক বেশি। হবু জামাইয়ের এই উদার ও আধুনিক মানসিকতায় আনন্দাশ্রু সামলাতে পারেননি পাত্রীর পিতা গোবিন্দ সিং শেখাওয়াত। জিতেন্দ্র সিং যে সমাজের প্রতিনিধি, সেখানে দাঁড়িয়ে এই কাজটি করা মোটেই সহজ ছিল না। তিনি এবং তাঁর পরিবার যেভাবে কন্যার শিক্ষাকে বিশেষ মর্যাদা দিলেন, তা সারা দেশের কাছেই নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সব সমাজের উচিত, জিতেন্দ্রকে অনুসরণ করে পণপ্রথার মতো ক্রনিক ব্যাধির মূলে নিরন্তর কুঠারাঘাত করা। তবেই, নারী শিক্ষার বিস্তারের সঙ্গে পণপ্রথা চিরতরে বিলোপের আশাটি দ্রুত উজ্জ্বল হবে।