উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
বাপ্পাবাবু বলেন, গত দুই বছর ধরে রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিনটিকে আমরা রসগোল্লা দিবস হিসাবে পালন করছি। সেই করণেই এদিন আমরা ১০ হাজার রসগোল্লা বিলি করেছি। যাঁরাই এসেছেন তাঁদেরই আমরা দু’টি করে রসগোল্লা দিয়েছি। রসগোল্লা পশ্চিমবঙ্গের গর্ব। এর ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যেই আমরা এই রসগোল্লা দিবস পালন করেছি।
এমনিতেই কোচবিহার শহর এখন মেতে রয়েছে রাসমেলা নিয়ে। হাজার হাজার মানুষ মদনমোহন মন্দির ও রাসমেলা চত্বরে দিনভর ভিড় করছে। ফলে এমনিতেই এই চত্বরটি সারাদিনই গমগম করছে। তার মধ্যে এদিন রসগোল্লা বিতরণ করায় ওই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই রসগোল্লা নেন। বাঙালির খাদ্য তালিকায় রসগোল্লা উল্লেখযোগ্য মিষ্টি। যেকোনও অনুষ্ঠানে খাবারের শেষ পাতে রসগোল্লা খাওয়াটা একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে বহুকাল ধরে। কিন্তু এই রসগোল্লা কে প্রথম তৈরি করেছিল তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা বির্তক ছিল। রসগোল্লার জিআই ট্যাগ পাওয়ার জন্য যখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আবেদন হয়েছিল সেই সময়ে ওড়িশা থেকেও দাবি ওঠে যে সেখানে রসগোল্লা প্রথম তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত রসগোল্লা তৈরির কৃতিত্ব পশ্চিমবঙ্গই পায়। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর এই জিআই প্রাপ্তি হওয়ায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা এই দিনটিকে রসগোল্লা দিবস হিসাবে পালন করা শুরু করেছেন। এদিন রাসমেলা চলাকালীন রসগোল্লা দিবস উদযাপিত হওয়ায় অনুষ্ঠানটি আলাদা মাত্রা পায়।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শহরে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের থেকে এদিন রসগোল্লা সংগ্রহ করে এদিন বিলি করা হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে রসগোল্লা বিক্রি হয়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই হাজার তিনেক রসগোল্লা বিলি হয়ে যায়। সংগঠনের সদস্যরা নিজেরাই লাইনে দাঁড়ানো বাসিন্দাদের হাতে হাতে রসগোল্লা তুলে দেন। বেলা ১টা পর্যন্ত রসগোল্লা বিলি চলে।