উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
১৯৮৭ সাল থেকে লেস্টার পূর্ব কেন্দ্র থেকে লেবার পার্টির এমপি ভাজ। দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর রাজনীতির ময়দান থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ভাজ জানিয়েছেন, ‘লেস্টার পূর্বের এমপি হিসেবে ৩২ বছর পূর্ণ করার পর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সময়ে আটবার নির্বাচনে জয়লাভ করেছি আমি।’ গোয়া বংশোদ্ভূত ৬২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ আরও বলেছেন, ‘১৯৮৫ সালে এই শহরে আসি আমি। তারপর থেকেই নিজের কেন্দ্রের মানুষের সেবা করতে পেরে আমি গর্বিত। লেস্টার পূর্বের বাসিন্দাদের আনুগত্য এবং আমাকে সমর্থনের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। লেস্টারবাসী বিশেষ করে লেস্টার পূর্বের জনগণ সর্বদা আমার হৃদয়ে থাকবেন।’
ব্রিটিশ রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেছেন লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বেশি করে ‘বেম’ (ব্ল্যাক, আসিয়ান অ্যান্ড মাইনোরিটি এথনিক) জনতার রাজনীতিতে আসার জায়গা করে দিয়েছিলেন ভাজ।’ ব্রিটেনের প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত মন্ত্রী হিসেবে তাঁর বিভিন্ন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশের বিরোধী দলনেতা করবিন। তাঁর কথায়, ‘স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সিলেক্ট কমিটির প্রধান, ডায়াবেটিস সচেতনতার প্রচারক এবং সাম্প্রতিক অতীতে ইয়েমেনে শান্তি স্থাপনের লক্ষে কাজ করেছেন ভাজ। জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একজোট করার লক্ষ্যে কাজ করেছি আমরা।’
কয়েক বছর আগে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুরুষ যৌনকর্মীদের জন্য মাদক কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভাজ। যার জেরে পার্লামেন্টের নজরদারি কমিটির সুপারিশ মতো তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল হাউস অব কমনস। এবং ছ’মাসের জন্য ভাজকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। স্ট্যান্ডিং কমিটি জানায়, ‘হাউস অব কমনসের সম্মান ও অখণ্ডতার বেনজির ক্ষতি করেছেন ভাজ’। ২০১৬ সালে ‘সানডে মিরর’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তদন্তের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সানডে মিররের স্টিং অপারেশনে ভাজের মাদক দুর্নীতির কথা উঠে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, নিজেকে ওয়াশিং মেশিনের সেলসম্যান দাবি করে পুরুষ যৌনকর্মীদের জন্য মাদক কিনতে চেয়েছিলেন ভাজ। পাশাপাশি, টাকার বিনিময়ে যৌনতার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ এমপি বলেছেন, যে ফ্ল্যাটে তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল তার অন্দরসজ্জা নিয়েই আলোচনা করছিলাম।
একইসঙ্গে তদন্তের মুখে নিজেকে ‘অ্যামনেসিয়া’ আক্রান্ত বলে দাবি করেছিলেন ভাজ। বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা মনে রাখতে পারেন না তিনি। যদিও, তদন্ত কমিটি সেই দাবি বিশ্বাস করেনি। এবং শাস্তিস্বরূপ ভাজকে পার্লামেন্ট থেকে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তারপরেই লেবার পার্টির এগজিকিউটিভ কমিটির অন্দরেই ভাজের ইস্তফার দাবি ওঠে। এমনকী স্বরাষ্ট্রসচিব ডায়ানে অ্যাবোট বলেন, ‘আমার মনে হয় ওঁর (ভাজ) নিজেরই পদের বিষয়টি ভাবা উচিত। ওঁর আর প্রার্থী হওয়া উচিত নয়।’ প্রসঙ্গত, এর আগে এমপিদের ‘মডেল কোড’ অবমাননারও অভিযোগ রয়েছে ভাজের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০০২ সালে স্ট্যান্ডার্ড কমিটি তাঁকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ডও করেছিল।