উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
রাফাল মামলায় শাসক দলকে স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্য নিয়ে মামলাতেও রাহুল গান্ধীকে রেহাই দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী একজন শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। আগামী দিনে মন্তব্য করার সময় তাঁর আরও সতর্ক থাকা উচিত। যদিও বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে রাহুল গান্ধীকে। রাফাল ইস্যুতে কংগ্রেসকে পাল্টা রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে শাসক দলের বিভিন্ন নেতা এদিন সরব হন। একাধিক ট্যুইটের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে নেতা ‘মানহানিকর এবং ভিত্তিহীন’ প্রচার করেছিলেন, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এখন প্রমাণিত, রাফাল ইস্যুতে সংসদ উত্তাল করে কতটা ভুল কাজ করেছিল বিরোধীরা। দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে যে সব কংগ্রেস নেতা রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে।’ একই বক্তব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে কলুষিত করার চেষ্টা। এই ধরনের জঘন্য প্রচারের জন্য দেশের মানুষ কোনওদিনই কংগ্রেসকে ক্ষমা করবেন না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সরাসরি রাহুল গান্ধী নাম করে বলেন, কংগ্রেস পার্টি এবং তাদের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে দেশের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।’
কংগ্রেসের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে রায়ের অপব্যাখ্যা করছে বিজেপি। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘রায়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করে উল্লাস করা বিজেপির অভ্যাস। রাফাল চুক্তি নিয়ে তদন্তের রাস্তা আরও পোক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর বা আজকের রায়ের পর রাফাল চুক্তি নিয়ে ভবিষ্যতে তদন্তের পথে যেতে পারে সিবিআই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ রায়ের ৭৩ এবং ৮৬ নম্বর অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সিবিআই বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও তদন্তকারী সংস্থার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।’