উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
এদিকে, তদন্তে উঠে এসেছে, মাঝরাতে তালা ভেঙে তিনি হোমের বাইরে আসেননি। রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কোনও এক সময়ে চাবি দিয়ে তালা খুলে তিনি নিজেই হোম থেকে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার লালবাজারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা এই খবর জানিয়েছেন। এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গণধর্ষণ কাণ্ডে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজার। তবে সরকারিভাবে তা স্বীকার করেননি গোয়েন্দা প্রধান।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বহু সিসিটিভি ফুটেজ তাঁদের হাতে এসেছে। সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা এই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন। এই গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে গোয়েন্দারা দুষ্কৃতীদের যাত্রাপথ, কোথায় গণধর্ষণ হয়েছে, তাও জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি, নির্যাতিতা মানসিকভাবে সুস্থ না হওয়ায়, বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে, এই স্পর্শকাতর গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে গোয়েন্দা প্রধান লালবাজারের বিভিন্ন শাখার বাছাই করা গোয়েন্দাদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করেছেন। এই তদন্তকারী টিম হোম কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে কিছু গরমিল পেয়েছে। যেমন, হোমের আয়া অষ্টমী দাস কলকাতা পুলিসকে জানিয়েছিলেন, রাত ২টো থেকে সওয়া ৩টের মধ্যে তালা ভেঙে হোম থেকে ওই মহিলা বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তদন্তে উল্টো তথ্য মিলছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিল হোম। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে উঠে আসা এসব তথ্য সত্যি হলে, বেশ কিছু অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে কলকাতা পুলিসকে। প্রথমত, পঞ্চসায়র মেন রোডে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কোনও মহিলাকে গাড়িতে ‘জোর করে’ তোলা হলে, তা আইনশৃঙ্খলার পক্ষে মোটেও ভালো তথ্য নয়। কেননা, ওই সময় ওই রাস্তা ধরে প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, অটো চলাচল করে। দ্বিতীয়ত, নিউ গড়িয়ায় ২০৬ বাসস্ট্যান্ডের সামনে রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘নাকা চেকিং’ করে পঞ্চসায়র থানার পুলিস। ফলে সেদিন ‘নাকা চেকিং’ কীভাবে এড়িয়ে গেল দুষ্কৃতীরা?