উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
রানাঘাটে রেলের জায়গায় অবৈধ দখলদারি চলছে। বুধবার বিকেলে জিআরপির কাছে গিয়ে অবৈধ দখলদার রুখতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার। বিষয়টি জানিয়ে সংসদ সদস্য কিছু ছবি নিজের সোশ্যাল সাইটে আপলোডও করেছেন। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রানাঘাট জিআরপির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় সংসদ সদস্যের সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা রাখালচন্দ্র সাহা। একজন বহিষ্কৃত নেতা সংসদ সদস্যের পাশে ঘোরার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মানবেন্দ্র রায় বলেন, রাখালচন্দ্র সাহাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে রাজ্য বিজেপি। জেলা নেতৃত্ব নয়। তবু মাননীয় সংসদ সদস্য যখন তাঁকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তখন এই বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যদিও সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার বলেন, আমি কোনও দলীয় কাজে সেখানে যাইনি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে দলীয় কোনও পতাকাও ছিল না। আর যে কাজে গিয়েছি সেটা দলীয় কাজও নয়। সরকারি অনুষ্ঠানে কে কোথায় গিয়েছে সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রানাঘাটে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ জেলার সভাপতি মানবেন্দ্র রায়কে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় শারীরিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগে দুই বিজেপি কর্মী রাখালচন্দ্র সাহা এবং রাকেশ সাহাকে দল থেকে বহিষ্কার করে রাজ্য বিজেপি। প্রথম থেকেই রাখালচন্দ্র সাহা বিজেপি সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বুধবার সংসদ সদস্যের পাশে থাকা প্রসঙ্গে রাখালচন্দ্র সাহা বলেন, আমি এক জায়গায় কাজে গিয়েছিলাম। ট্রেন থেকে নেমে সংসদ সদস্যকে দেখি জিআরপি অফিসের দিকে যাচ্ছেন। তাই আমি তাঁর পিছনে পিছনে যাই। এর থেকে বেশি কিছুই না।
ওইদিন সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার রানাঘাট রেল স্টেশনের জিআরপি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে জিআরপিকে রেলের এলাকায় অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন। সংসদ সদস্য বলেন, রানাঘাটে রেলের জায়গা দখল করে শুধুমাত্র দোকান নির্মাণ হচ্ছে না। জায়গাগুলি টাকার বিনিময় ভাড়া নিয়ে দোকান চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অবৈধভাবে এই জায়গাগুলি দখল করে ব্যবসা চলছে। যার লভ্যাংশ সরকারের ঘরে জমা পড়ে না। তোলাবাজদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় একটা অশুভ আঁতাত চলছে স্টেশন এলাকায়। পাশাপাশি জিআরপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখানে জিআরপির কাজ অবৈধ বাংলাদেশি ধরে ধরে টাকা আদায় করা। এটা জিআরপির কাজ নয়। পাশাপাশি জিআরপি অফিসের সামনে লোগো ঢেকে এনআরসির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো ফ্লেক্স কীভাবে দেওয়া হল। রেলের জায়গায় এই কাজের প্রতিবাদ করেছি এবং ফ্লেক্স খুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা রেলের নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ। জিআরপি জানিয়েছে, যে রাজনৈতিক দল ফ্লেক্স লাগিয়েছে, তাদের এগুলি খুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।