উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
এবিষয়ে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরকম ঘটনা কখনই কাম্য নয়।
ইংলিশবাজার থানার তরফে জানানো হয়েছে, ওই পার্কটির দায়িত্ব পুরসভার। পার্কটির মধ্যে অশালীন কাজকর্ম হয় বলে আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।
ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, প্রায় এক একর জায়গায় গড়ে উঠেছে শুভঙ্কর শিশু উদ্যানটি। পুরসভা একটি ঠিকাদার সংস্থাকে পার্কটি লিজ দেয়। বিনিময়ে ওই সংস্থা পুরসভাকে বছরে ১২০০ টাকা দেয়। সেই সংস্থাই পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণ করে। যেকোনও সময়ে পুরসভা ওই সংস্থার লিজ বাতিল করতে পারে। সেই অধিকারও আমাদের রয়েছে। ওই ঠিকাদার সংস্থার তরফে গোপাল চৌধুরী জানিয়েছেন, কোনও আপত্তিকর কাজ দেখলে আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করে। কিন্তু পার্কে আসা অনেক যুগলই মারমুখী হয়ে আমাদের কর্মীদের দিক ধেয়ে আসে। পুলিসকে বারংবার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুভঙ্কর শিশু উদ্যানের পাশেই রয়েছে বোটিং পার্ক। দুটি পার্ক আলাদা আলাদা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকলেও একটি পার্কের ভিতর দিয়েই অন্য পার্কটিতে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেজন্য দুটি পার্কের মধ্যে একটি মিনি উড়ালপুলও বানানো হয়েছে। শিশুদের আকর্ষণ করতে শুভঙ্কর শিশু উদ্যানে হরেক ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে একাধিক গাছ। পার্কের মধ্যে রয়েছে স্লিপ ও দোলনা। রয়েছে হাতি, জিরাফ ইত্যাদির মডেল। এক জায়গায় রয়েছে একটি খাঁচা। সেই খাঁচার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি খরগোশ। পার্কে রয়েছে টয় ট্রেনে চেপে ঘোরার ব্যবস্থাও। গোটা পার্কটিই সবুজ ঘাসে মোড়া। বিভিন্ন জায়গায় বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিমেন্টের পাকা বেঞ্চ। খালি শিশু নয়, সেসব বেঞ্চে বসতে পারেন শিশুদের সঙ্গে আসা তাদের অভিভাবকরাও। রোদ অথবা বৃষ্টিতে যাতে কারও সমস্যা না হয় সেজন্য সেই বেঞ্চগুলির উপর ছাউনিও বানিয়ে দিয়েছে দেখভালকারী ঠিকাদার সংস্থা। কিন্তু পার্কে আসা শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ঠিকঠাক নজরদারির অভাবেই পার্কটিতে নানা অশালীন কাজ হচ্ছে। বিকাল হতে না হতেই পার্কে ঢুকে পড়ছেন অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা। পার্কে থাকা বেঞ্চগুলিতে, ঝোপঝাড়ের আড়ালে এবং কখনও কখনও ঘাসের উপরেই চলছে কুকীর্তি।
খালি শুভঙ্কর শিশু উদ্যানটিতে নয়, এসব কাজকর্ম দিব্যি চলছে তার পাশেই থাকা ওই বোটিং পার্কটিতেও। সেখানে জলাশয়ের ধারে নানা জায়গায় জোড়ায় জোড়ায় ভিড় করছেন যুবক-যুবতীরা।
এব্যাপারে শহরের বাসিন্দা বাপি দে বলেন, আমার ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু আমি আমার ছেলেকে ওই পার্কে নিয়ে যাই না। ওই পার্কে যুগলরা যেভাবে বসে থাকে, তা খুবই আপত্তিকর। আমি চাই না আমার সন্তান সেই দৃশ্য দেখুক।
এদিকে পার্কে আসা এক যুগলকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাদের সাফ জবাব, প্রিয়জনের সঙ্গে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য শহরের মধ্যে এই শিশু উদ্যানটি খুবই ভালো জায়গা। তাই আমরা এখানে আসি।