উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের পাশাপাশি আরও যে তিনটি ডিএফসি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রেলের, তাতে বাংলার দুটি শহরেরও নাম জুড়ে যাওয়ার কথা। কলকাতা এবং খড়্গপুর। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা-মুম্বই এবং খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া ফ্রেট করিডর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা-মুম্বই ডিএফসি হবে ২ হাজার ৩২৮ কিলোমিটার এবং খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া ফ্রেট করিডর হবে ১ হাজার ১১৪ কিলোমিটার লম্বা। এই দু’টোর পাশাপাশিই দিল্লি-চেন্নাই রুটে আরও একটি ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। যেটি হবে ২ হাজার ৩২৭ কিলোমিটার লম্বা। ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডিএফসির মতোই এই তিনটিও ডিএফসিসিআইএলের (ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড) মাধ্যমেই করা হবে বলে খবর।
ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডিএফসি প্রকল্পের মোট খরচ প্রায় ৮১ হাজার কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠছে, অর্থাভাবের কারণেই কি বাকি তিনটি ডিএফসির কাজ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হল রেলমন্ত্রককে? তা অবশ্য মানতে নারাজ রেলমন্ত্রক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, ‘এখনও এই তিনটির ক্ষেত্রে ডিপিআর বা ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়নি। ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে এখন। তা চূড়ান্ত হওয়ার পর তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন লাগবে। যাবতীয় প্রক্রিয়া মিটে গেলে যখন কাজ শুরুর সবুজ সংকেত পাওয়া যাবে, তখনই তা করা হবে। এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’ ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডিএফসি তৈরির কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হবে। ফলে মনে করা হচ্ছে, ২০২২ সালের আগে ওই তিনটি ডিএফসি তৈরির আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৮৫৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যাচ্ছে প্রকল্পের ২০৩ কিলোমিটার অংশ। এবং বিহারের সোননগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ডানকুনি পর্যন্ত এই অংশের কাজ হচ্ছে পিপিপি মডেলে। অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর মোট ১ হাজার ৫০৪ কিলোমিটার লম্বা।