উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
চিঠি, পোস্টকার্ড ইত্যাদির জন্য ডাক বিভাগের বিপুল লোকসান হয়। ডাক বিভাগের রিপোর্ট বলছে, একটি পোস্টকার্ডের জন্য তাদের খরচ হয় ১২ টাকা ১৫ পয়সা। কিন্তু তা বিক্রি করে মেলে মাত্র ৫০ পয়সা। বুকপোস্ট, স্পিড পোস্ট, ভিপি প্রভৃতি থেকে যা আয়, তার তুলনায় পরিষেবা দেওয়ার খরচ অনেক বেশি। ডাক বিভাগের কর্মীদের বেতন ও পেনশন খাতে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে খরচ হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখানে ডাক বিভাগের আয় হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেলের বক্তব্য, তাঁদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। কোন পরিষেবার কী দাম নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে এখন নানাভাবে আয় বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে ডাক বিভাগ। আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ সঞ্চয় প্রকল্প থেকে আসে। ওই সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৭ কোটি। এতদিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের হয়ে বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প চালাত ডাক বিভাগ। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন নিয়ে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে এটিএম, এনইএফটি সহ ব্যাঙ্কের সব পরিষেবা পাওয়া যাবে। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে ব্যাঙ্কের শাখা নেই, সেখানে এটি খুব কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করেছে ডাক বিভাগ। গৌতমবাবু জানিয়েছেন, ডাক বিভাগে যাঁদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলি পেমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় ডাক বিভাগের কর্মী গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে পেমেন্ট ব্যাঙ্কের পরিষেবা দেবেন। ডাকঘরগুলিতে পেমেন্ট ব্যাঙ্কের জন্য কাউন্টার খোলা হয়েছে। এর জন্য ডাক বিভাগের কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
পার্সেল পরিষেবা থেকে আয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পার্সেল থেকে আয় ৬০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ই-কমার্স সংস্থাগুলি তাদের পণ্য ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠাচ্ছে। ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরের তুলনায় ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে পার্সেলের সংখ্যা প্রায় ছ’ কোটি বেড়েছে। পার্সেল পাঠানোর জন্য পরিকাঠামোর উন্নত করা হচ্ছে বলে চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল বলেছেন। গোটা দেশে ৫৬টি লেভেল ওয়ান পার্সেল হাব হয়েছে। এরাজ্যে কলকাতা, দুর্গাপুর ও শিলিগুড়িতে এই হাব চালু হয়েছে। দেশে লেভেল টু হাব হয়েছে ১৩৪টি। পার্সেল রাখার জন্য গুদাম তৈরি হচ্ছে এই হাবগুলিতে। এতদিন বিভিন্ন শহরে ট্রেন ও বিমানপথে পার্সেল যেত। এবার সড়কপথে পার্সেল পাঠানো হচ্ছে। কারণ রেলে বেশি জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি আধার ও পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র হয়েছে ডাকঘরে। রাজ্যে ১,১১৬টি আধার সেবা কেন্দ্র ও ৪০টি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চালু হয়েছে বলে গৌতমবাবু জানিয়েছেন।