উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগে মেহের আলি নামে এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট মেলে। ধৃত মেহের পুলিসকে জানায়, কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশি পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক আসবে কলকাতায়। মণিপুরের এক বাসিন্দা তা নিয়ে আসবে। সে এর আগেও কলকাতায় এসেছে। মণিপুরের ওই যুবকের নামও জানা যায়। জোগাড় করা হয় তার মোবাইল নম্বর। সেই সূত্র ধরে জানা যায়, বুধবার সে কলকাতায় আসছে। তারাতলা এলাকায় এক ব্যক্তির হাতে ইয়াবা ট্যাবলেট তুলে দেবে। এরপরই এসটিএফের একটি টিম ওই এলাকায় পোঁছে যায়। সেখানে মণিপুরের ওই বাসিন্দা পৌঁছনো মাত্রই তাকে চ্যালেঞ্জ করেন অফিসাররা। তার কাছ থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে মেলে ৫৮০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বলে দাবি এসটিএফের। ধৃত জেরায় পুলিসকে জানিয়েছে, মায়ানমার থেকেই এগুলি এসেছিল। মণিপুরে মাদক কারবারে যুক্ত এক ব্যক্তি তাকে এই ট্যাবলেট দিয়ে কলকাতায় পাঠায়। এখান থেকে সেগুলির বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল। তার কাছ থেকে এই কারবারে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছেন অফিসাররা।
মণিপুর, মিজোরাম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রমরমিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটের কারবার চলছে। মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে তা এদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। তারপর তা শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ঢুকছে। দিনকে দিন চোরাপথে এই ট্যাবলেট আসার পরিমাণ বাড়ছে। উদ্বিগ্ন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা জেনেছেন, এই কারবারে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে জাল নোট কারবারিদের যোগাযোগও গড়ে উঠেছে। জাল নোট পাচারের কাজে যুক্ত একের পর এক কেরিয়ার ধরা পড়ে যাওয়ার কারণে কৌশল বদলাতে বাধ্য হয়েছে নকল নোটের শীর্ষ কারবারিরা। কিন্তু কীভাবে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ গড়ে উঠল? তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক মাদক কারবারিকে জেরা করে জেনেছেন, চোরাপথে আসা ইয়াবা ট্যাবলেটের সবটাই কলকাতায় থাকছে না। একটা বড় অংশ মালদহ ও মুর্শিদাবাদে যাচ্ছে। সেখানেও ভালো চাহিদা রয়েছে এই ট্যাবলেটের। পাশাপাশি দুই জেলাই বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় সহজেই ইয়াবা পাচার করে দেওয়া যাচ্ছে সীমান্তের ওপারে। সেই সূত্র ধরেই জাল নোট কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছে উত্তর পূর্ব ভারতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিদের। এই কারবারের মাধ্যমেই জাল নোট পাঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পাশাপাশি জাল নোটের ব্যবসায় জড়িতরাও ইয়াবা ট্যাবলেটের কারবার শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। জাল নোট ও মাদক কারবারিদের এই যোগসাজশ বন্ধ করাই অফিসারদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।