উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মুখ পুড়েছিল পাকিস্তানের। কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির সাজা স্থগিত রাখতে হয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর ভারতের দাবি মেনে সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কুলভূষণের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগের সুযোগও দিতে হয়েছে ইসলামাবাদকে। এদিন পাক সেনা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। রিপোর্টে দাবি করা হয়, সেনা আইনে সংশোধনের তোড়জোড় করছে ইমরান খান সরকার। যাতে সেনা আদালতের ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে নাগরিক আদালতে আবেদন জানাতে পারেন কুলভূষণ যাদব। সেখানে আরও বলা হয়, এজন্য সেনা আইনে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। সেই লক্ষ্যে একটি খসড়া তৈরির কাজ চলছে। ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালত যে রায় দিয়েছিল, তা কার্যকর করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। যদিও এদিন সন্ধ্যায় পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল গফুর ট্যুইট করে সেই রিপোর্ট খারিজ করে দেন। গফুর তাঁর ট্যুইটে লেখেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কার্যকরের লক্ষ্যে কুলভূষণ যাদবকে নাগরিক আদালতে ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সুযোগ দিতে সেনা আইনে সংশোধন করা হচ্ছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এটা সঠিক নয়।
২০১৭ সালের এপ্রিলে রুদ্ধদ্বার বিচারে কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা আদালত। চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অপবাদে। যদিও প্রথম থেকেই ভারত দাবি করে আসছে, কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ইরানে গিয়েছিলেন। মিথ্যা অভিযোগে পাক সেনা আদালত তাঁকে সাজা দিয়েছে।
কুলভূষণ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের ১৭ জুলাইয়ের রায় ভারতের বড় জয় ছিল। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, কুলভূষণের ফাঁসির সাজা খতিয়ে দেখতে হবে পাকিস্তানকে। ভারতের বক্তব্য ছিল, কুলভূষণের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগের সুযোগ দিচ্ছে না পাকিস্তান। এর ফলে ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা সম্মেলনের প্রস্তাব লঙ্ঘন করা হয়েছে।