উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
অসমে জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম। তিনি কেশব চন্দ্র গগৈ এর পুত্র। যিনি ১৯৮২ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ছাত্রজীবনে মেধাবী ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোটা অসমে তিনি চতুর্থ স্থান লাভ করেছিলেন। প্রি-ইউনিভার্সিটি সেকালে ছিল এক বছরের পাঠক্রম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। তারপর দিল্লি গিয়ে সেন্ট স্টিফেন কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করেন। পরবর্তীতে এমএ পাশ করে আইন নিয়ে পড়েন। পাশও করেন কৃতিত্বের সঙ্গে। ১৯৭৮ সালে গুয়াহাটি উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। গুয়াহাটি হাইকোর্টেই মূলত তিনি ওকালতি করতেন। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতে বদলি হন তিনি। পাঞ্জাবে বদলি। ২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের মুখ্য বিচারপতি পদে শপথ নেন তিনি। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন গগৈ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে শরদ অরবিন্দ বোবদের নাম সুপারিশ করেছেন। পাশাপাশি, সরকারের কাছে প্রধান বিচারপতির অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৫ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন রঞ্জন গগৈ।
কর্মজীবনের অন্তিমলগ্নে তাঁকে দিতে হবে রাফাল রিভিউ মামলার রায়ও। গত ১০ মে এই মামলার রায় রিজার্ভ করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যেখানে প্রধান বিচারপতির সহযোগী হিসেবে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কওল ও বিচারপতি কে এম জোসেফ। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, এমএল শর্মা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি ও যশোবন্ত সিংদের তরফে দায়ের করা মামলায় রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন মামলাকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রথমে এই দাবি খারিজ করা হলেও পরে মামলাকারীরা রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। এর পরে সেই রিভিউ মামলার শুনানি হয়, তার পরে রায় স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি রয়েছে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত রিভিউ মামলার রায়দানের বিষয়টিও। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে। এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র নিয়ে কী ভাবছে শীর্ষ আদালত, তারও রায়দান করে জানাতে হতে পারে প্রধান বিচারপতি গগৈকে। তাকিয়ে গোটা দেশ।