উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
যে-কোনও ক্ষেত্রেই হোক অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ডায়ালিসিস মেশিন না থাকায় কলকাতারই দুটি নামী সরকারি হাসপাতাল—অর্থাৎ এনআরএস এবং মেডিকেল কলেজে দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, যা অত্যন্ত দুঃখের। এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তারজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন আছে। সেই ঘটনা থেকে ঠেকে শিখে স্বাস্থ্য দপ্তরের এই নয়া উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। পিজির সবক’টি ক্রিটিকাল কেয়ার ওয়ার্ড ও বড় বাড়িতে রোগীর বেডের পাশেই ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা রাখছে সরকার। এর ফলে, মুমূর্ষু রোগীর বেডের পাশে বিনামূল্যে ডায়ালিসিসের সুযোগ থাকার পাশাপাশি ভেন্টিলেটর, কাডিয়াক মনিটার ও অন্যান্য যন্ত্র থাকার সুবিধা থাকবে। তাদের আর টানা হেঁচড়া করে অন্যত্র চিকিৎসার প্রয়োজনে নিয়ে যেতে হবে না। মনে রাখা দরকার, রোগীর কিডনি ফেলিওরের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। একাধিক রোগে জেরবার রোগীকে ডায়ালিসিসের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সমস্যাটি নিয়ে পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে গুরুত্বসহকারে ভেবে প্রতিকারের উপায় বের করেছেন তা অবশ্যই একটি ভালো নজির। ওই কাজের জন্য আর্থিকভাবে সরকারি সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শাসনভার গ্রহণের পরই চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির জন্য বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের কর্ম সংস্কৃতিরও উন্নতি ঘটান। তাঁর আমলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির হালচাল বদলে গিয়েছে। জেলাগুলিতেও চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বহু গরিব মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগও পাচ্ছেন। ন্যায্যমূল্যে ওষুধ কেনার ব্যবস্থাও করে দিয়েছে সরকার। হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর প্রবণতাও আগের তুলনায় বেড়েছে। তবু যেখানে পরিকাঠামোগত ঘাটতি থেকে গেছে তা দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। সেই চেষ্টার ফলশ্রুতিতেই পিজি হাসপাতালে এই উদ্যোগ। তবে, এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। রাজ্যের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে, বিশেষত জেলা হাসপাতালে এই ব্যবস্থাটি করে দেওয়া সম্ভব হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। মনে রাখা দরকার, উপযুক্ত পরিষেবাটুকু পান না বলেই জেলার বহু মানুষ কলকাতার
হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তি করতে ছুটে আসেন নেহাতই অপারগ হয়ে। তাই, পরিষেরার সুযোগটি সম্প্রসারিত করা দরকার।