বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, খাদ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে এখনও বহু ছোট-বড় উদ্যোগপতির সঠিক পাঠ নেই। এসব কায়দা না জানার কারণে, বহু ক্ষেত্রেই ফল-সব্জি নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু এমন সামগ্রী বিদেশেও রপ্তানি করা হয়, তাই ঠিক মতো সংরক্ষণ না করা হলে, অনেক কিছু পচে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাতে আর্থিক লোকসান পোহাতে হতে পারে ওই ব্যবসায়ীদের। তাই সংরক্ষণ নিয়ে যদি তাঁদের ঠিক মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল তৈরি করা হবে। তাঁরাই মূলত এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য আরও কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছে। তা হল, ফলমূল জীবাণুমুক্ত কী করে করা যায়, বা এগুলির সংরক্ষণ কতটা জরুরি, তার নিয়েও সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে। তাছাড়া বায়ো টেকনোলজির ব্যবহার নিয়েও অবহিত করা হবে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলার যেখানে চাষ বেশি হয়, সেই এলাকাগুলিতেই এই বায়ো টেক পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসেও একটি কেন্দ্র করতে ইচ্ছুক কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য সৈকত মৈত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা শুধু থিওরি বা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই থাকতে চাই না। গবেষণা, প্র্যাক্টিক্যালের মাধ্যমে বিষয়গুলিকে শিখে নিতে হবে। তার জন্য প্রক্রিয়াকরণের প্ল্যান্ট তৈরি করতে হবে। প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা তো একটা অঙ্গ অবশ্যই। কী ধরনের গবেষণা হবে? কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধরা যাক কোনও একটি ফলে পোকা ধরছে। কিন্তু তা কেন ধরছে, কী করলে সেই ফলকে রক্ষ করা যেতে পারে, এ নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। সেসবই এখানে করার সুযোগ থাকবে।
কখনও হেরিটেজ রক্ষার স্বার্থে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কাজ করা, তো কখনও পড়ুয়দের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রশ্ন ব্যাঙ্ক তৈরি— সব ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ছোট ছোট উদ্যোগপতিদের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণের বিশেষ কর্মসূচি। কাদের এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তার আলাদা মাপকাঠি ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যত বেশি সম্ভব উদ্যোগপতিকে এই পাঠ দিয়ে ‘শিক্ষিত’ করে তুলতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়।