কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশনে কম চাল ও আটা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার সকাল থেকেই রেশন ডিলারের দোকান ও বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের স্থানীয় আধিকারিক, মানবাজার-২ ব্লকের বিডিও তারাশঙ্কর প্রামাণিক, বোরো থানার ওসি বিরাট পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন।
স্থানীয় বাসিন্দা যজ্ঞেশ্বর মাহাত, অমরেশ মাহাত বলেন, রেশন ডিলার দীর্ঘদিন ধরেই কম সামগ্রী দেন। লকডাউনের সময়েও একই কাজ করছেন। তাছাড়া কোন গ্রাহক কতটা সামগ্রী পাবেন, তার কোনও তালিকাও টাঙানো নেই। স্থানীয় প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। এদিন গ্রামের হরিমন্দির সংলগ্ন এলাকায় গ্রামবাসীর সঙ্গে বিডিও ও ওসি আলোচনাও শুরু করেন। যদিও সেই আলোচনাও ভেস্তে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ওই রেশন ডিলারকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুলতে গেলে বাধা দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামের সকলের সামনে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। পুলিসের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেইসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছন মানবাজারের এসডিপিও। পুলিসের গাড়ি ঘেরাও মুক্ত করতে শুরু হয় লাঠিচার্জ। গ্রামবাসীরাও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। পরে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এবিষয়ে মানবাজার-২ বিডিও তারাশঙ্কর প্রামাণিক বলেন, রেশনে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমরা গ্রামে গিয়েছিলমা। উত্তেজনা থাকায় আলোচনা সম্ভব হয়নি। ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়টি পুলিস বলতে পারবে।
এবিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিস সুপার এস সেলভা মুরগানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জেলার খাদ্য নিয়ামক শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটা ঝামেলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিস্তারিত বলতে পারব।