পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
তিনি বলেন, আজকের প্রজন্ম এমনভাবে মোবাইলে আসক্ত হয়ে গিয়েছে যে, মাঠে যাওয়া ভুলে যাচ্ছে। আগের মতো গ্রামীণ খেলাধুলোর চর্চারও আর হচ্ছে না, লোকক্রীড়া হারিয়ে যাচ্ছে। লোকক্রীড়ার জন্য তেমন কোনও সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় না। প্রাথমিক স্কুলগুলিতে দামী সরঞ্জাম কেনার সামর্থও নেই বা স্পোর্টস টিচারও নেই। লোকক্রীড়ার মাধ্যমে অ্যাথলেট গড়ার প্রাথমিক পাঠ দেওয়া সম্ভব হবে প্রায় বিনা খরচেই। এজন্য শিক্ষকদের উৎসাহী হতে হবে। হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে হলদিয়া পৌর পাঠভবন স্কুলের মাঠে দু’দিনের জেলা প্রাথমিক ক্রীড়ার আয়োজন করা হয়েছে। জেলার ৪৬টি চক্রের ১২০০ ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানস দাস, বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুপিয়ান, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, দুই চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল আজিজুল রহমান, জয়ন্তী রায় দণ্ডপাট প্রমুখ। এদিন জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্তের জীবনী, আলাশুলি গোরাচাঁদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার ভৌমিকের একটি ফোল্ডার প্রকাশ করেন মানিকবাবু।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানসবাবু বলেন, এবার জেলা ক্রীড়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৪৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। প্রাথমিক স্কুলের জেলা ক্রীড়ার আয়োজনের জন্য হলদিয়া পুরসভা সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছে। এদিন হলদিয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন, পুরসভার সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে তিনি স্কিপিং সেট ও একটি করে মিনি টেবল টেনিস বোর্ড দেবেন। গত বছরের তিন কৃতী খুদে খেলোয়াড়কে রাজ্যে সাফল্যের জন্য তিনি ২০০০ টাকা করে পুরস্কার দেন।