উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পুজো পরিচালন কমিটির প্রধান উদোক্তা মাধবেন্দ্র দাস প্রভু বলেন, এবার নতুন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার নিম কাঠের মূর্তি পুরীধাম থেকে আনা হয়েছে। আমরা ইসকনের নিয়ম মেনে জগন্নাথের পুজোপাঠের আয়োজন করি। পুজোয় ৫৬ পদের ভোগ নিবেদন করা হয় দেবতাকে। আগামী ৪জুলাই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা শুরু হবে। সেই মতো আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এদিন হাটসিমলার পাশাপাশি ওই এলাকার নসরৎপুর পশ্চিমপাড়ায় আরও একটি স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান হয়। স্থানীয় জয় রামানন্দ দাসের বাড়ির প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানের আযোজন করে শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ। পশ্চিমপাড়ার নামহট্ট মন্দিরে এদিন স্নানযাত্রার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইসকনের জেলা প্রচারক নরোত্তম সেবক দাস প্রভু। সেখানেও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার নিম কাঠের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। পুজোয় দেওয়া হয় জগন্নাথের প্রিয় ৫৬ পদের ভোগ। রথযাত্রা ও উল্টোরথে বড় মেলাও বসে। তবে ওই রথে দেবতা হিসেবে জগন্নাথের মূর্তি থাকে না। তার বদলে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি পুজো হয়। প্রায় ৫০ বছর ধরে চলে আসছে এই উৎসব। সমুদ্রগড় তাঁত কাপড় হাটের এক মালিক সুবীর কর্মকার এদিন বলেন, হাটসিমলা ও পশ্চিম নসরৎপুরে জগন্নাথের স্নান যাত্রায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছে। ইসকনের ভাবধারায় এই অনুষ্ঠান হয়।
অন্যদিকে, কালনার ছোটদেউড়ির পাড়াতেও স্নানযাত্রা দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। এই উপলক্ষে এলাকায় বিশাল মেলা বসে। এখানকার জগন্নাথ মন্দির বর্ধমানের রাজাদের তৈরি। হাত ছাড়া জগন্নাথ দেব সর্বত্র পূজিত হলেও এখানে জগন্নাথদেব হাত যুক্ত। কথিত আছে, একবার বর্ধমান রাজ পরিবারের রানি পুরীতে জগন্নাথ দর্শণে যান। সেখান থেকে ফিরে রানি কালনার ভাগীরথী নদীর তীরে মন্দির তৈরি করে জগন্নাথ দেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে বলেন মহারাজাকে। রানিমার ইচ্ছায় হাত যুক্ত জগন্নাথদেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথা মেনে প্রতিবছর স্নানযাত্রার দিন বিগ্রহকে বাইরে এনে আচ্ছাদনের নীচে রেখে স্নান করানো হয়। বহু ভক্ত প্রাণ মানুষ স্নান পর্ব দেখতে এখানে ভিড় করেন।
এলাকার বাসিন্দা সোমনাথ পণ্ডিত বলেন, এক সময় বর্ধমান রাজাদের তৈরি জগন্নাথ মন্দির সহ পাশাপাশি জোড়া শিব মন্দির এলাকার গর্ব ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসতেন। বর্তমানে সব ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। এক সময় বর্ধমান রাজ পরিবারের লোকেরা মহা ধুমধামে এই পুজো করলেও বর্তমানে সেই আড়ম্বর নেই। রাজ পরিবার থেকে কোনও সাহায্যও আসে না। এলাকার মানুষ পুরনো ঐতিহ্য মেনে পুজো করছেন। ভগ্নপ্রায় মন্দিরগুলিরও সংস্কার প্রয়োজন।