উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বেতকুণ্ডু এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল ১০জনের নামে এবং বিজেপি ৮জনের নামে অর্থাৎ দু’পক্ষ মোট ১৮জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। দু’দলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির ধীরাজ পালই এবং তৃণমূলের অজয় দাস নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগতপুর গ্রামের স্থানীয় কল্পতরু ক্লাবে কয়েকজন বিজেপি কর্মী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ উপলক্ষে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন উত্তেজনার মুহূর্তে বিজেপি কর্মীরা মাঝে মাঝে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে থাকেন। অভিযোগ, ক্লাবের কাছে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ কমিটির সভাপতি প্রণয় দাস সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করেন। তা থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তৃণমূল কর্মীরা প্রথমে ক্লাবের সদস্য ধীরাজ পালই নামে এক বিজেপি কর্মীর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে এগিয়ে আসেন ক্লাবের সম্পাদক বিজেপি কর্মী অসিত দাস। অভিযোগ, তখনই অসিতের উপর ধারালো কাটারি নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। কাটারির আঘাতে অসিতবাবুর বাম চোখের নীচে ক্ষত হয়েছে। জখম দুই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে মহিষাদল বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিজেপির জেলা নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহিষাদল বিধানসভার তিন নম্বর মণ্ডল বেতকুণ্ড এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নবকুমার দাস বলেন, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের সময় ভারতের দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখতে দেখতে বিজেপির কয়েকজন কর্মী আনন্দে ‘জয় শ্রীরাম’ বলছিলেন। জয় শ্রীরাম বলার ‘অপরাধে’ তৃণমূলের বুথ সভাপতির নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপর চড়াও হয়। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছিল। তৃণমূল এলাকায় ফতোয়া জারি করেছিল, জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া যাবে না। রাজ্যে থাকতে হলে এটা করা চলবে না। সেজন্য মারধরেরও হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা এই হুমকির বিরুদ্ধে পালটা রুখে দাঁড়াতেই তৃণমূল মারমুখী হয়। বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, থানাতেও এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে তাদের বচসা হয়।
মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, জয় শ্রীরাম বলার জন্য এই ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ার কারণেই এরা গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। এখানে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটের পর থেকে বরং বিজেপিই প্ররোচনা তৈরি করে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে সামনে রেখে মানুষের ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে বিজেপি সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে। এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই কর্মীকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তবে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, পুলিস আইন অনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেবে।