উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
রবিবার মালদহ পলিটেকনিকে দক্ষিণ মালদহের স্ট্রং রুম পরিদর্শন করেন প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টরা। সেখানে শ্রীরূপাদেবীও ছিলেন। সেখানে তাঁর নজরে আসা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সোমবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন শ্রীরূপাদেবী। চিঠির কপি দিয়েছেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব, রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে, দক্ষিণ মালদহের দুই সাধারণ পর্যবেক্ষক অনিত পানায়াং ও কমল প্রীত ব্রার এবং দক্ষিণ মালদহের পুলিস পর্যবেক্ষক রাণা ভুঁইঞাকে। শ্রীরূপাদেবীর দাবি, নির্বাচন কমিশনের স্থির করে দেওয়া নির্দেশ মতো ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের সুরক্ষা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ইংলিশবাজার ও মানিকচক কেন্দ্রের স্ট্রং রুমগুলি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে এবং ওই দুটি স্ট্রং রুমে বিবিধ গরমিলের সুযোগ রয়েছে।
একই সঙ্গে দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, মালদহ পলিটেকনিকের মূল প্রবেশ পথে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। স্ট্রং রুমে যাওয়ার একমাত্র মূল প্রবেশপথটি দিয়ে রিটার্নিং অফিসার, অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকবৃন্দ এবং নির্বাচনী সামগ্রী সরানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। পলিটেকনিক কলেজের কিছু কর্মী কলেজ চত্বরে অবাধে যাতায়াত করছেন। এমনকী যে পরিচিতিপত্র ব্যবহার করে স্ট্রং রুম চত্বরে অনায়াসে যাতায়াত করা হচ্ছে সেগুলির বেশির ভাগই নকল ও অবৈধ বলে অভিযোগ শ্রীরূপাদেবীর।
বিজেপি প্রার্থীর আরও দাবি, উত্তর মালদহের রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট রাখার স্ট্রং রুমটি দক্ষিণ মালদহের ইংলিশবাজার ও মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রাখা হয়েছে। যেখানে উত্তর মালদহের জন্য আলাদা স্ট্রং রুম মালদহ কলেজে রয়েছে সেখানে উত্তর মালদহের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম কেন দক্ষিণ মালদহের সঙ্গে একসঙ্গে রাখা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
১১ মে মালদহ পলিটেকনিক থেকে বেশ কিছু নির্বাচনী সামগ্রী প্রার্থীদের অজান্তেই সরানোর চেষ্টা জেলা প্রশাসন করেছিল বলেও আরও একবার এই চিঠিতে অভিযোগ করেছেন শ্রীরূপাদেবী। স্ট্রং রুম চত্বরে নিয়োজিত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের সতর্কতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
১৫ দফা অভিযোগ জানানোর শেষে পাঁচ দফা দাবিও পেশ করেছেন তিনি। তাঁর মধ্যে প্রথমেই ইংলিশবাজার ও মানিকচকে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছেন তিনি। জেলাশাসকের অপসারণ, স্ট্রং রুম নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি, এসএসবি জওয়ানদের সরিয়ে সেখানে বিএসএফ বা সিআরপি মোতায়েন এবং দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও অনুপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ড্যান্টদের তালিকা প্রকাশের দাবিও করেছেন এই বিজেপি প্রার্থী। জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য টেলিফোনে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে। এরপরেও অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।