উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বড়োই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আজ পর্যন্ত এখানে কোথাও পিএইচই প্রকল্প করেনি। পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই আয়রন ও আর্সেনিকযুক্ত পানীয় জল পান করে পেটের রোগ হচ্ছে। একাধিকবার এনিয়ে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সোমনাথ মিত্র বলেন, এই অঞ্চলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কোনও প্রকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই টিউবওয়েলের জল পান করতে হচ্ছে। সারা বছর পানীয় জলের সমস্যায় জর্জরিত এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ গরমকালে চরমে পৌঁছায়। পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় পানীয় জলের জন্য বাসিন্দাদের টিউবওয়েলের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে জলের স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলের জলও পাওয়া যায় না। তখন পানীয় জলের জন্য দূরদূরান্তে ছুটে বেড়াতে হয়। তৃষ্ণা মেটাতে মানুষকে সাবমার্সিবল মেশিনের জল পান করতে হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের কোয়েল দাস বলেন, বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতে পিএইচই’র পানীয় জল সরবরাহের কোনও প্রকল্প নেই। পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পঞ্চায়েতে সমিতির পক্ষ থেকে এই অঞ্চলে পিএইচই প্রকল্পের জন্য জেলা পিএইচই দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সোনামণি সাহা বলেন, এই অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই আছে। সাধারণ মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জলের অভাবে টিউবওয়েলের দূষিত জল পান করতে হয়। গরিব মানুষের পক্ষে জল কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েই আর্সেনিক যুক্ত জল পান করেন। এই অঞ্চলে পিএইচই প্রকল্পের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রকল্পের জন্য পিএইচই দপ্তর জমি চাইলে জমি দেওয়া হবে।
পিএইচই’র চাঁচল মহকুমার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পঙ্কজকুমার রায় বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পিএইচই’র কাছে দাবি জানাতে হবে। আমাদের কাছে আবেদন এলে সেই মৌজায় সমীক্ষা করে প্রকল্প গড়া হবে।
বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি বুথে ৩৪টি গ্রাম আছে। প্রায় ৩৫ হাজার লোক এখানে বসবাস করেন। পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন এই বিশাল সংখ্যক মানুষ। গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা, মোবারকপুর, টেংরিয়াপাড়া, কর্পূরগঞ্জ, বিদ্যানন্দপুর, চয়নপুর, বারোঘরিয়া প্রভৃতি গ্রামে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জল সংকট দেখা দিয়েছে।