উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি ইতিমধ্যেই গণনার জন্য তাদের বাছাই করা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে। বিজেপি তাদের কর্মীদের এই বিধানসভাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সাতটি বিধানসভার কর্মীদের সাত দিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
কিন্তু বিজেপি’র মতো বিধানসভাভিত্তিক নয়। বিজেপি’র মতো তিন দফায় প্রশিক্ষণও নয়। তৃণমূল সাতটি বিধানসভার বাছাই করা কর্মীদের একদিনেই প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রশিক্ষণ হবে আলিপুরদুয়ার জেলা সদরেই। দলের জেলা কার্যালয় অথবা কোনও বেসরকারি ভবনে এই প্রশিক্ষণ হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা থেকে কাউন্টিংয়ের জন্য ২৫০ জন কর্মী নাম জমা দিয়েছেন। কিন্তু গণনায় তো এতজন কর্মীর দরকার নেই। প্রতি বিধানসভা থেকে গণনার জন্য ২০ জনের মতো করে কর্মী লাগবে। আসলে আলিপুরদুয়ারে আমরাই জিতব। সেই জন্যই গণনায় সরাসরি অংশ নেওয়ার জন্য কর্মীদের মধ্যে এই আবেগ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের অধীনে আছে মাদারিহাট, কালচিনি, ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার, কুমারগ্রাম এবং কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ও জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা এই সাতটি বিধানসভা। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের ইভিএম মেশিন এখন আলিপুরদুয়ার কলেজের স্ট্রং রুমে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। ভোট গণনার জন্য জেলা প্রশাসন প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়ার কাজও শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, অন্ততপক্ষে তিনটি নির্বাচনের গণনায় অংশ নেওয়া অভিজ্ঞ দলীয় কর্মীদেরই একমাত্র লোকসভা ভোটের গণনায় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কাজেই গণনায় অংশ নিতে দলের কর্মীরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নাম জমা দিলেও স্বাভাবিকভাবেই অনেকের নাম তাতে বাদ যাবে। তৃণমূলের জেলা কমিটির এক পদাধিকারী বলেন, আমরা বিজেপি’র মতো বিধানসভাভিত্তিক ও তিন দফায় গণনায় অংশ নেওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি না। কারণ আমরা দলের যে কর্মীদের গণনার জন্য নির্বাচিত করব তাদের এমনিতেই আগের ভোটের গণনায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমরা দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দিয়ে অযথা সময় নষ্ট করতে রাজি নই।