উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
কোচবিহারে এদিন কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধ আন্দোলনে শামিল হন অভিভাবক ও পডুয়ারা। কয়েকটি জায়গায় ডিএসও’র নেতৃত্বেও অবরোধ হয়েছে। কোচবিহারের বলরামপুর চৌপথিতে পডুয়ারা ৪৫ মিনিট অবরোধ করে। রাজারহাট চৌপথী, দেওয়ানহাটেও এদিন অবরোধ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলেন, কোচবিহারে দাবদাহ নেই, ঝড়ও নেই তাই এখানে টানা এতদিন স্কুলছুটির কোনও কারণ নেই। অবরোধের জেরে এদিন বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার ধনীরামপুর বেগম রাবেয়া খাতুন হাইস্কুলের পডুয়ারা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। এছাড়া শিলবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও যোগেন্দ্র নগর হাইস্কুলের পডুয়ারা শিলবাড়িহাটে ফালাকাটা সোনাপুর ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। বেলা ১২টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে সোনাপুর ফাঁড়ি থেকে পুলিস গিয়ে অবরোধ তুলে দিয়েছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তপন সিনহা বলেন, পডুয়াদের দাবিপত্র পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি তফসিলি ফ্রি হাইস্কুলের পডুয়া ও অভিভাবকরা এদিন জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অফিসের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হন। আন্দোলনকারী পডুয়ারা দ্রুত ছুটি বাতিল করে স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। বেরুবাড়িতে টানা কয়েকদিন পথ অবরোধ করে স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচেছ পডুয়া ও অভিভাবকরা। শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া বুদ্ধভারতী হাইস্কুলের সামনে এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ছাত্র ও অভিভাবকরা জমায়েত হয়ে স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই বিক্ষোভ চললেও অভিভাবকরা প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। অভিভাবকরা বলেন, এই স্কুলে অধিকাংশ নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করে। তারা অনেকে প্রাইভেট টিউশনি পায় না। একই সঙ্গে মিড ডে মিল না পেয়ে অনেকেই কষ্টে রয়েছে। এখানে অসহ্য গরমের দেখা নেই। তাই স্কুলে পঠনপাঠন চায় ছাত্র ও অভিভাবকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপনেন্দু রায় বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুসারে স্কুল ছুটি হয়েছে।