উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ না দিলেও আন্দোলনকারীদের দাবিকে সমর্থন করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই অবস্থায় পরিস্থিতি জটিল এবং উদ্বেগজনক বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ মনে করছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে সোমবার ১৩ মে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশানের প্রথমবর্ষের প্রথম সেমেস্টার রদ করেছে। ওই সিদ্ধান্তকে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মালদহ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূণ রায় বলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকের দিকে নজর রাখছি। আমরা যদিও ঘেরাও আন্দোলন সমর্থন করি না। তবে শিক্ষার্থীরা অবৈধভাবে ভর্তির যে অভিযোগ তুলেছে তার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। উপাচার্য এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন তা আমরা আগেই চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মতো দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি এড়াতে সকলকেই সচেষ্ট হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, উপাচার্য এযাবৎ ওই বিষয়ে যা নির্দেশ দিয়েছেন তা পালিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক নিয়ে কী কথা হয়েছে তা আমার জানা নেই। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শুক্রবার রাতে ঘেরাও আন্দোলন তোলা হয়েছিল দু’টি বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে। প্রথমত, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশানের পরীক্ষা আপাতত বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয়ত, উপাচার্য মঙ্গলবার আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আশা করছি আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্য নিজের অবস্থান পরিষ্কার করবেন। আমরা জানি যে, আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে বহিরাগতদের এনে হামলা করানো হতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই কলঙ্কিত দৃষ্টান্ত রয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশান বিভাগের স্নাতকোত্তরে এক শিক্ষার্থীর অবৈধ ভর্তির অভিযোগ নিয়ে আন্দোলনে নামে। রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়। তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল(ইসি) ওই ভর্তির অনুমোদন দেওয়ায় তা খারিজ করতে হলে তাদেরই করতে হবে। ফলে মঙ্গলবার উপাচার্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সেক্ষেত্রে আপৎকালীন ইসি ডাকার প্রস্তাব আসতে পারে। তা মানা না মানার উপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা তৈরি হবে কি না তা নির্ভর করছে।