উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। শহরে ইট পাথরের নির্মাণ, ঘিঞ্জি বসতি এলাকায় থাকতে থাকতে অনেকে হাঁপিয়ে উঠছেন। তাই শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান এলাকা রয়েছে। প্রায় ১০০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ওই চা বাগান। চা শ্রমিক ও তাদের পরিবার মিলে সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। শহরতলির ওই চা বাগান এলাকার মনোরম পরিবেশ এমনিতেই জলপাইগুড়ি শহরবাসীকে সবসময় আকৃষ্ট করত। ছুটির দিন হলে অনেকেই বাগানে গিয়ে সময় কাটানো অনেকে পিকনিক করতেও বাগানে আসেন। বাগানের ভিতর দিয়ে বইছে রুকরুখা নদী। সেখানে সারাবছর কমবেশি জল থাকে। ওই নদীতে বন্যপ্রাণীরা জল খেতে আসে। নদীর পাশ দিয়ে রেলপথ চলে গিয়েছে। চারদিক সবুজে ঘেরা চা বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে বনের ময়ূররা। ওই চা বাগানের কর্মীরা জানালেন, পাঁচ বছর আগে বন থেকে গোটা পাঁচেক ময়ুর এখানে আসে। সেই পাখিরা আর ফিরে যায়নি। হয়তো ওদের খাদ্য সংস্থান ও এলাকাকে নিরাপদ মনে করায় থেকে গিয়েছে। বন্যপ্রাণীদের বাগানের শ্রমিকরা বিরক্ত করা তো দূরের কথা তাদের লালন করেছে। বাদরের হামলায় একবার একটি ময়ূর জখম হলে তাকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে বাগানেই ছেড়ে দিয়েছে। পাখিদের ডিম যাতে কেউ চুরি করে নিয়ে না যায় সেদিকেও শ্রমিকদের নজর থাকে। ফলে বছরের পর বছর ডেঙ্গুয়াঝাড় বাগানে ময়ূরের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, ভবিষ্যতে ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান ময়ূর দেখার গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে চা বাগান কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সজাগ রয়েছে। বাগানের বিভিন্ন জায়গায় বন্যপ্রাণী রক্ষা নিয়ে সাইনবোর্ড লাগানোর পাশাপাশি বন্যপ্রাণী নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছে। বাগানে বিষধর সাপ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণীদের দেখা পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কেন বাড়ছে ওই বাগান এলাকায়? উত্তরে বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার বলেন, জৈব সার, জৈব কীটনাশক যতটা পারা যায় আমরা বাগানে ব্যবহার করি।