উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ জন অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি রাজ্য মন্ত্রীসভায় পাশ হওয়ার পর আমরা উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের স্পেশাল সেক্রেটারির কাছ থেকে চিঠি পেয়েছিলাম। তারপর হান্ড্রেট পয়েন্ট রোস্টার তৈরির জন্য বিষয়টি ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এর অনুমোদন পাওয়া যাবে। অনুমোদন পেলেই বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশন, সোসিওলজি, এমবিএ, আইন, কম্পিউটর অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স ও স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের জন্য অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগটি নতুন করে চালু হবে। এতদিন এই বিভাগগুলির জন্য মোট ১০ জন চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক ছিলেন। তাঁরাই এখানকার পডাশুনার বিষয়টি দেখতেন। জানা গিয়েছে, এডুকেশন, সোসিওলজি, কম্পিউটর সায়েন্স বিভাগগুলিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পঠন পাঠন হয়। এমবিএ ও আইন বিভাগ দু’টিতে শুধু মাত্র স্নাতকোত্তর স্তরের পঠন পাঠনই হয়। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট স্থায়ী পদের সংখ্যা রয়েছে ১২২টি এখানে আরও ৪২ জন অধ্যাপক নিয়োগ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের আরও উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
২০১৫ সালে রায়গঞ্জ ইউনির্ভাসিটি কলেজ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর এখানে বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক বিভাগ চালু করা হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীও নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ১০তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও সমানতালে চলছে। সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় তিনটি ধাপে পঠনপাঠন চলে। তার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একের পর বিভাগ খুলে তাতে ছাত্র ভর্তির উদ্যোগও চালিয়ে যাচ্ছে। এবার ওই ছ’টি বিভাগে নতুন করে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।