খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
গত তিন মাস ধরে হুবেই প্রদেশ তালাবন্দি করে রেখেছে জিনপিং সরকার। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ। এর মধ্যে উহানেই বাস করেন ১.১ কোটি মানুষ। এই উহানেই গত বছর ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম পাওয়া যায়। এখন পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণে। টানা পাঁচদিন নতুন করে কোনও সংক্রমণের খবর না মেলার পর সোমবার একজনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উহান সহ গোটা হুবেই প্রদেশে চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বেজিং প্রশাসন। সরকারি নির্দেশিকায় ঘোষণা করা হয়েছে, বুধবার থেকে ‘গ্রিন হেলথ কোড’-এর মাধ্যমে হুবেই প্রদেশে চলাফেরা করা যাবে। সরকার পরিচালিত সংবাদপত্র ‘পিপলস ডেইলি’তে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ থেকে হুবেই প্রদেশ থেকে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। আর উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হবে ৮ এপ্রিল। হুবেই হেলথ কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৮ এপ্রিল থেকে উহানের বাসিন্দারা শহরের বাইরে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এই হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৩ হাজার ১৬০ জন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ২০৩ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক এবং ৩৩৬ জনের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। হুবেই প্রদেশে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এর মধ্যে উহানেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৬ জন। তাই ‘গণ কোয়ারেন্টাইন’-এর ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছিল চীন সরকার।