খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় সঙ্কটে আর কখনও পড়েনি ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে আরও ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান হতে পারে 'লক ডাউন'। এর সুফল মিলবে বলে মনে করেন ইতালির ভাইরাসবিদ তথা আধ্যাপক জিয়োর্গিও। তিনি বলেন, লকডাউনের বিকল্প নেই। এতেই সুফল মিলবে। তবে এখনও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। করোনার জেরে ইতালি যে সঙ্কটের মুখে পড়েছে তা চতুর্থ সপ্তাহে গড়িয়েছে। অতি জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতালির সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্পেনে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২০ হাজার। খারাপ অবস্থা ফ্রান্সেরও।
অন্যদিকে, ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ রোধে আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাসিন্দাদের জন্য বাড়িতে থাকার (স্টে হোম) নির্দেশ জারি হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসাম বলেছেন, এই মহামারীর সময় বাসিন্দারা শুধু প্রয়োজন হলেই বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন। প্রায় চার কোটি মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে। আমেরিকাতে ১৩ হাজার ৬৭৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত ২০০ জনেরও বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসাম বলেন, ‘এটা এমন সময় যখন আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের বাস্তবতাকে স্বীকার করতে হবে।’ তাঁর নির্দেশ অনুসারে ক্যালিফোর্নিয়াবাসীরা জরুরি পণ্য বা ওষুধ কিনতে, কুকুরকে হাঁটানো বা ব্যায়াম করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন। তবে তাঁদের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা সীমিত করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ওষুধের দোকান ও পেট্রল পাম্প খোলা থাকবে। গভর্নর জানান, প্রতি চার দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে দেখা যাচ্ছে। তিনি ফেডারেল সরকারের সহায়তার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, ৮ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৫৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এখন পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। নিউ ইয়র্কে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৪ জন। মারা গেছেন ২৬ জন। নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও ফেডারেল সরকারের কাছে নিউ ইয়র্কের জন্য ১৫ হাজার ভেন্টিলেটর, ৩০ লক্ষ মাস্ক, ৫ কোটি সার্জিক্যাল মাস্ক এবং সাড়ে ৪ কোটি গাউন, গ্লাভস এবং সুরক্ষা পোশাক চেয়েছেন।