খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিকে, ভারতেও হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৯ ছুঁয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এরই মধ্যে এবার উত্তর-পূর্ব ভারতেও হানা দিল করোনা। মণিপুরের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পশ্চিম ইম্ফলের বাসিন্দা বছর তেইশের এক তরুণীর শরীরে সংক্রমণের অস্তিত্ব মিলেছে। তিনি গত ১৮ মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লিতে আসেন। তারপর অন্য একটি বিমানে চেপে তিনি কলকাতায় আসেন। জ্বর এবং গলা ব্যথা নিয়ে এরপর কলকাতাতেই কিছুদিন থাকেন তিনি। তারপর গত ২১ মার্চ আগরতলা হয়ে ইম্ফলগামী বিমানে মণিপুর ফেরেন তিনি। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ফেরার সময় ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর ভাইও ছিলেন। যে বিমানে তিনি ইম্ফলে ফিরেছিলেন তাতে আরও ১০৮ জন যাত্রী ছিলেন।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক কে রাজো সিং জানিয়েছেন, ওই তরুণী জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে এসে শারীরিক পরীক্ষা করান। সেখানেই তাঁর শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। ওই তরুণীর সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তিকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন ওই আধিকারিক। এর জন্য তিনটি ফোন নম্বরও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, রাজ্য প্রশাসনের তরফে আক্রান্ত তরুণীর বাড়ির সামনে কড়া পুলিসি প্রহরা মোতায়েন করা হয়েছে।
গুজরাতেও ক্রমশ সংক্রমণ বাড়ছে করোনার। এদিন নতুন করে তিন জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলায় সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩। রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (স্বাস্থ্য) জয়ন্তী রাভি জানান, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেইল্যান্স প্ল্যাটফর্ম (আইডিএসপি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই বিদেশ ফেরত নাগরিকদের উপর সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। দেশের মধ্যে প্রথম এই রাজ্যেই এহেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমীক্ষা করা হচ্ছে বলেই দাবি করেন তিনি। গুজরাতে নতুন তিন আক্রান্তের মধ্যে দু’জন গান্ধীনগরের বাসিন্দা। তাঁদের শরীরে স্থানীয়ভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে, আরও এক আক্রান্ত সম্প্রতি সৌদি থেকে সুরাতে ফিরেছিলেন বলে জানান জয়ন্তীদেবী। মধ্যপ্রদেশে সংক্রামিতের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে ৯ হয়েছে। এদিন গোয়ালিয়রে বছর ছত্রিশের এক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। গত সপ্তাহেই তিনি খাজুরাহো থেকে গোয়ালিয়রের বাড়িতে ফিরেছিলেন। খাজুরাহোতে কোনও বিদেশি পর্যটকের সংস্পর্শে এসে ওই ব্যক্তি সংক্রামিত হয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কর্ণাটকে এদিন নতুন চারজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮। রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিনজন বাইরে থেকে রাজ্যে এসেছিলেন। কর্ণাটকের মতোই মহারাষ্ট্রেও এদিন নতুন চারজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০১। পাশাপাশি, তামিলনাডুতেও এদিন তিনজন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন মহিলা এবং একজন সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তি রয়েছেন। এঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি বিদেশ সফর থেকে ফিরেছিলেন।
বাদ যায়নি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরও। এদিন শ্রীনগরে নতুন দু’জন সংক্রামিতের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের একজন সৌদি এবং একজন আন্দামান থেকে ফিরেছিলেন। ভূস্বর্গে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬।