বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
চাঁচল-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শুভময় বসু বলেন, মানুষ পঞ্চায়েতে আমাদের বিপুল সমর্থন জানিয়েছেন এটা বাস্তব। পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে আমরা পুরসভা নিয়ে মানুষের দাবির প্রসঙ্গটিও তুলেছিলাম। কারণ, আমাদের সরকার উন্নয়নের সরকার। দাবিটি আমাদের চর্চার মধ্যেই আছে। দলের তরফে এনিয়ে যথাযোগ্য স্থানে বলাও হয়েছে। সরকার এবিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা উন্নয়নের প্রশ্নে সরকারের ভূমিকায় আশাবাদী। বিজেপি’র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস চাঁচলের মানুষকে পুরসভার টোপ দিয়েছিল। মানুষও উন্নয়নের আশা করে আছেন। রাজ্য সরকার পুরসভা নিয়ে কী ভূমিকা নেয় তা আমরা নজরে রাখছি।
২০১০ সালে চাঁচল-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অংশভাগ নিয়ে চাঁচল পুরসভা তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছিল। প্রস্তাবিত ওই পুরসভার আওতায় সেই সময় ৪০ হাজার মানুষ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানা গিয়েছিল। প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল-১ ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহভাগ, কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় অর্ধেক অংশ ও চাঁচল-২ ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি মৌজা ওই প্রস্তাবিত পুরসভা এলাকার অর্ন্তভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রায় নয় বছর পেরিয়ে গেলেও চাঁচলবাসী পুরসভা পায়নি। প্রতিটি নির্বাচনের মতো এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালেও পুরসভার দাবি মাথা তুলেছিল। এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিও ভরপুর ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। বিশেষ করে তৃণমূলীরা পুরসভার আবেগকে বেশি করে উসকে দিয়েছিল। চাঁচলে তৃণমূল কখনও সাফল্য পায়নি তাই সরকারের কাছে কিছু দাবি করার মুখ নেই, নির্বাচনী পর্বে তৃণমূল নেতারা এমনটাই দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা ভোট প্রচারে আশ্বাসও দিয়েছিলেন ফল ভালো হলে পুরসভা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এতে কাজ হয় টনিকের মতো। নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায় চাঁচলের দু’টি ব্লকের চারটি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে তিনটিই তৃণমূল দখল করেছে। চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল দখল করতে না পারলেও দল সেখানে ভালো ফল করেছে। আবার চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল দখল করেছ। চাঁচল-১ ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দু’টি তৃণমূল সরাসরি দখল করেছে এবং বাকিগুলির অধিকাংশ নানা সমীকরণে তাঁদের দখলে গিয়েছে। চাঁচল-২ ব্লকে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত সরাসরি এবং তিনটিতে বকলমে দখল নিয়েছে তারা।
শাসকদলের এই বিপুল সাফল্যকে ঘিরেই চাঁচলে পুরসভার দাবি মাথা তুলতে শুরু করেছে। আম জনতার মধ্যে তো বটেই শাসকদলের অন্দরের পুরসভার দাবি আছে।