বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এলাকা উন্নয়ন নিয়ে গ্রামবাসীদের নিরাশ হলে চলবে না। সবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন হয়েছে। এখনও ট্রেনিং সংক্রান্ত বিষয় বাকি রয়েছে। সেগুলি হয়ে গেলে ধীরে ধীরে রূপরেখা তৈরি হবে। বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জীত মিশ্র বলেন, কিছু কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের প্রতিনিধিরা কাজ করতে পারছেন না। বোর্ড গঠন হয়ে গেলেও বিরোধী নেতা তৈরি হয়নি। সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা ক্ষমতাসীন হলেও বিরোধীরা নানাভাবে জনপ্রতিনিধিদের সমস্যা তৈরি করছে। যার জেরে অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে উঠতে পারছেন না। পরিকল্পনা নিতেও সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবগত করেছি। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি, দলনেতা গঠন হয়নি। তাছাড়া গ্রাম সভার মতো গুরুত্বপূর্ণ সভা সব জায়গাতে এখনও হয়নি। ফলে উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা স্তব্ধ হয়ে আছে। আমরা এনিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি। যাতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে এলাকা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারে। পুরাতন মালদহের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির শুভলক্ষ্মী গায়েন চৌধুরী বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়নে এখনও কোনও পরিকল্পনা নিতে পারিনি। গ্রামসভায় বসে সেখানে সকলের বক্তব্য অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যা খতিয়ে দেখে আমরা পরিকল্পনা নেব। জেলার গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক জ্যোতি ঘোষ বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পঞ্চায়েত আইন এবং জেলাশাসকের নির্দেশমতো সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বাজেট এবং প্ল্যান রচনা করছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
মালদহে ১৪৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তারমধ্যে ১১০টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বিজেপির প্রধান এবং উপপ্রধান রয়েছে একক এবং যৌথভাবে রয়েছে ২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। বাকি সাতটিতে কংগ্রেস একক এবং যৌথভাবে প্রধান উপপ্রধান গঠন করেছে। জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে থাকলেও সার্বিকভাবে এলাকা উন্নয়ন নিয়ে এখনও পরিকল্পনা নেই। এর বেশিরভাগ কারণই হচ্ছে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে উপসমিতি, বিরোধী দলনেতা, পাড়া বৈঠক, গ্রামসভার মতো সভা না হওয়া। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতকে পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বোর্ড গঠনের পর প্রধান উপ প্রধান দের ট্রেনিং, পাড়া বৈঠক, গ্রাম সভা মিটিং, উপসমিতি বাজেট, পঞ্চায়েতের সাধারণ বাজেট সহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সবগুলি স্তরে পৌঁছতে পারেনি। ফলে তারা সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা এখনও নিতে পারেনি।