বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পূর্ত দপ্তরের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিভাস সরকার বলেন, বালুরঘাট বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ডিপিআর তৈরির জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। সেইমতো আমরা কাজ শুরু করেছি। ভূমি দপ্তরের কাছে জমির যাবতীয় কাগজ চাওয়া হয়েছে। দ্রুত এই কাজ শেষ হবে।
সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বালুরঘাটেই হোক এনিয়ে আমি সরব হয়েছিলাম। জেলা সদর শহর হওয়ার সুবাদে বালুরঘাটেই বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া প্রয়োজন। শুনলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ডিপিআর তৈরি করতে পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে। নতুন বছরে এর থেকে ভালো খবর আর কী হতে পারে! বালুরঘাটের বিধায়ক আরএসপি’র বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য একাধিক বার সরব হয়েছি। বালুরঘাটই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির উপযুক্ত স্থান। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন রেখেছিলাম। অবশেষে বালুরঘাটে বিশ্ববিদ্যালয় ভবন গড়তে ডিপিআর তৈরির জন্য শিক্ষা দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে জেনে ভালো লাগছে।
মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথা ঘোষণা করতেই সেটি কোথায় হবে বালুরঘাট না গঙ্গারামপুরে সেনিয়ে জেলাবাসীর মধ্যে তরজা বেশ জমে ওঠে। চায়ের দোকান থেকে বাজারহাট, ট্রেনে-বাসে সকলের মধ্যে চর্চা হতে থাকে কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে তা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নিয়ে বালুরঘাট গঙ্গারামপুর দুই শহরের বাসিন্দরাই জোরালো আন্দোলনে নামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। বিছিন্ন সাইটে নিজেদের শহরের বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি নিয়ে পোস্ট করার হিড়িক পড়ে যায়। শিক্ষক থেকে চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতা থেকে কলেজ পড়ুয়া যুবক কেউ তাতে বাদ যাননি। সকলেই নিজের শহরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি নিয়ে পোস্ট করতে থাকেন। কেউ কেউ দাবি তোলেন গঙ্গারামপুর শহর পিছিয়ে রয়েছে—সে কারণে সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয় চাই। আবার বালুরঘাট জেলা সদর, শিক্ষার দিক থেকে এগিয়ে— একারণে বালুরঘাটেই বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি তোলেন অনেকে। এনিয়ে অনলাইনে ভোটাভুটিও শুরু হয়ে যায় গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট শহরবাসীর মধ্যে। কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে তা নিয়ে শাসকদলের মধ্যেও মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসে। শাসকদলের অনেকে বালুরঘাটে, কেউ আবার গঙ্গারামপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি চেয়ে সরব হন। তবে বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিল পাশ হতেই বালুরঘাট বিধানসভার বিধায়ক আরএসপির বিশ্বনাথ চৌধুরী শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান ভাসা ভাসা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় স্থাপন হবে তা স্পষ্ট করে বলতে হবে।
সেকথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন বালুরঘাটেই বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সরাসরি জেলা পূর্ত দপ্তরের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। বালুরঘাটে মাহিনগরের কৃষি দপ্তরের জমিতে তৈরি হবে বিশ্ববিদ্যালয়। এই মর্মেই পূর্ত দপ্তরে চিঠি এসেছে। সেই চিঠি পেয়ে ডিপিআর তৈরির কাজও শুরু করেছে জেলা পূর্ত দপ্তর।