বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
তিনি বলেন, এই মডেল সফল হবে কি না তা যাচাই করে নেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনায় উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উৎসবের কথা ভাবা হয়েছে। যে ইভেন্টে যে জেলার ভালো পারফরমেন্স রয়েছে সেখানে সেই ইভেন্টের উত্তরবঙ্গব্যাপী প্রতিযোগিতা হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা তার আয়োজক হবে। নর্থবেঙ্গল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে খরচ দেওয়া হবে। এই উদ্যোগে সাফল্য পাওয়া গেলে প্রতিটি জেলায় এভাবে একেকটি ইভেন্টের ‘এক্সিলেন্সি সেন্টার’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়াকে চেয়ারম্যান করে তিন বছর আগে নর্থবেঙ্গল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট বোর্ড তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাইচুং ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি। তাঁর কাজ নিয়ে যেমন অনেক প্রাক্তন ফুটবল তারকার ক্ষোভ ছিল, সেরকম আলাদা করে ফান্ড না পাওয়ায় বাইচুংও একাধিকবার সরব হয়েছেন। পরে বাইচুং তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে সিকিমে নতুন রাজনৈতিক দল করায় এই বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি তৈরি করে রাজ্যের ক্রীড়া দপ্তর। তাতে প্রাক্তন ফুটবল তারকা শ্যাম থাপাকে চেয়ারম্যান ও উত্তরবঙ্গের দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক শিলিগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার নান্টু পালকে ভাইস চেয়ারম্যান করে এই বোর্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই নতুন কমিটিতে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
নান্টুবাবু বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার বেশিদিন হয়নি। শ্যাম থাপার সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিক ভাবে কিছু প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গেও একপ্রস্ত কথা হয়েছে। এবার তাঁর সঙ্গে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ক্রীড়া দপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর এই পরিকল্পনা মতো ক্রীড়া উৎসব সহ উত্তরবঙ্গের ক্রীড়া প্রসারের কাজ শুরু হবে। শিলিগুড়ির দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে ব্যাডমিন্টনের জন্য একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরির প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ খেলাধুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খো-খো, কবাডির মতো গ্রামীণ খেলাগুলি অবহেলিত। কিন্তু এই খেলায় শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে। খুব কম খরচে ঝাঁকে ঝাঁকে গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা এই অবহেলিত খেলায় রাজ্য, দেশকে গৌরবান্বিত করার পাশাপাশি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার মঞ্চ গড়ছেন। যা ব্যয়বহুল অন্য খেলায় ভাবাই যায় না। তাই খেলার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের গ্রাম বাংলার ছেলেমেয়েদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ক্রীড়া সেরা হাতিয়ার।
এই ভাবনা বাস্তবায়িত করার জন্য আগে প্রতিটি জেলার সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বসে তাদের সমস্যা ও প্রস্তাব শোনা হবে। নান্টুবাবু বলেন, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিলিগুড়িতে বৈঠক রয়েছে। একে একে সব জেলার সঙ্গে বৈঠকের পর সবাইকে নিয়ে শ্যাম থাপার সঙ্গে বৈঠকে বসে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।