বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের লিপিকা রায় বলেন, ১৯ জানুয়ারি বিগ্রেডের সমাবেশ উপলক্ষে আমাদের কর্মাধ্যক্ষ ও দলের নেতানেত্রীদের থাকার জন্য বালুরঘাট ভবন ও আমাদের জেলা পরিষদের ভবন বুকিং করেছি। কয়েকদিনের জন্য ওই বুকিং রাখা হয়েছে। সেই বুকিংয়ের জন্য পুরসভার এক অফিসারকে বলেছি। এনিয়ে বালুরঘাট পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার পিনাকী বিশ্বাস বলেন, বালুরঘাট ভবন বুকিংয়ের জন্য কেউ বা কারা আমাদের বলেছিলেন। বুকিং করা হয়েছে। তবে কোনও আধিকারিকের নামে বুকিংয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বালুরঘাট পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূলের শঙ্কর দত্ত বলেন, ১৯ তারিখ শহরের নেতাকর্মীদের থাকার জন্য পুরসভার বালুরঘাট ভবন বুকিং করতে গিয়েছিলাম। আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় সেখানে কোনও ঘর ফাঁকা নেই। সভাধিপতি সমস্ত ঘর বুকিং করে নিয়েছেন। আমাদের ব্রাত্য করে এভাবে সমস্ত ঘর একজনের জন্য ভাড়া দেওয়া পুরসভার প্রশাসনের পক্ষে ঠিক হয়নি।
বালুরঘাট পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার আরএসপি’র প্রলয় ঘোষ বলেন, কলকাতায় বালুরঘাট ভবনের একটি ঘর ভাড়ার জন্য পুরসভায় গিয়েছিলাম। পুরসভা থেকে জানানো হয় সমস্ত ঘর ১৭ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এক অফিসার অগ্রিম বুকিং করেছেন। যদিও পরে সেই বুকিং স্থান থেকে ওনার নাম মুছে দেওয়া হয় ও টেবিল থেকে বুকিং খাতা সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরসভার একজন অফিসার হয়ে কীভাবে শাসকদলের জন্য ঘর ভাড়া করেন তা বুঝতে পারছি না।
বালুরঘাট পুরসভার সল্টলেকে থাকা বালুরঘাট ভবন আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। সমস্ত ঘর এক অফিসারের নামে বুকিং করা রয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়ের নির্দেশে ওই অফিসার নিজের নামেই সমস্ত ঘর বুকিং করেন। এরই মধ্যে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে গিয়ে সেখানে থাকার যাওয়ার জন্য পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূলের কাউন্সিলারা ওই ভবনের ঘর বুকিং করতে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় সভাধিপতি সমস্ত ঘর বুকিং করেছেন। জেলা পরিষদের ভবন শুধু নয়, তিনি পুরসভার ভবনও বুকিং করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরাও সরব হয়েছে। বিজেপি’র তরফে এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।