বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
অবস্থানকারীদের দাবি, বাম জমানা থেকে নানা সময়ে তাঁরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে জমি দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো তাদের পরিবারে চাকরি হয়নি। কয়েকজন সরকারি চাকরি পেলেও অধিকাংশ এখনও বেকার রয়েছেন। জমি হারিয়ে কোনও ক্রমে সংসার চলছে তাদের। দাবিদাওয়া নিয়ে শুক্রবার অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেও কোনও সন্তোষজনক উত্তর পায়নি। বাধ্য হয়েই অনির্দিষ্টকালীন অবস্থানে বসতে হয়েছে।
জলপাইগুড়ি ল্যান্ড লুজার কমিটির সভাপতি নজরুল রহমান বলেন, তিস্তা ক্যানেলের জন্য কাদোবারি এলাকায় ১৯৯০ সালে আমাদের জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। সেসময়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকায় এক বিঘা করে জমি কেনে। বর্তমানে এক বিঘা জমির দাম ১৭ লক্ষ টাকা। জলের দামে জমি কিনে সরকার আমাদের পরিবার পিছু একজনের চাকরি দেওয়ার কথা দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিবারের কেউ চাকরি পায়নি। কয়েকদিন আগে এনিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করলে তিনি ১০ দিন পরে খোঁজ নিতে বলেন। তাঁর দেওয়া সময় মেনেই এদিন তাঁর অফিসে এলে তিনি সন্তোষজনক কোনও কথাই আমাদের জানাতে পারেননি। বাধ্য হয়ে অবস্থানে বসেছি। চাকরি না পেল আমরণ অনশন শুরু করব। আরেক জমিহারা শশাঙ্ক চক্রবর্তী বলেন,জমিহারা অনেকের ল্যান্ড লুজার কোটায় চাকরি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও আমার চাকরি হয়নি। দ্রুত জমিহারা সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এনিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি অবশ্য বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
অনেক সময় খাস জমি না থাকলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করেই সরকারি কাজ করতে হয়। তিস্তা ক্যানেল, জাতীয় সড়ক, ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সহ বিভিন্ন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলি সমাপ্ত হয়ে গেলেও জমিহারা পরিবারের অনেকেই এখনও চাকরি পাননি। দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, বাম, তৃণমূল কোনও সরকারেই আমাদের দাবিকে কর্ণপাত করেনি। জেলা প্রশাসনে তারা ল্যান্ড লুজার সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়েছেন। বেকার যুবকদেরও তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।