বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, গুরুপূর্ণিমা থেকে মেলা শুরু হলেও রবিবার থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে। প্রতি সপ্তাহে রবিবার রাত থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালবেন। এবারও মন্দিরে ঢোকার জন্য ১০ এবং ১০০ টাকার টিকিটের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ১০ টাকার টিকিটে নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে। তবে ১০০ টাকার টিকিট কাটলে সরাসরি ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। মন্দির সংলগ্ন পুকুরে আমাদের ভলান্টিয়াররা থাকবেন। ৭০ জন ভলান্টিয়ার গোটা মেলায় ছড়িয়ে থাকবেন। এছাড়াও আমরা ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাব। মেলায় চার শতাধিক স্টল বসেছে। এবছরেও আমরা মেলায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। মন্দিরে আসা দর্শনার্থীদের পানীয় জল, ভোগ খাওয়ানো হবে।
জলপাইগুড়ির ডিএসপি (ক্রাইম) মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে আমাদের তিস্তা ঘাটে পুলিসি থাকছে। তিস্তার ঘাট, মেলা ও মন্দির প্রাঙ্গণ সহ রাস্তায় পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে। যেকোনও বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য একটি আলাদা টিম করা হয়েছে। বাইরের জেলা থেকেও ফোর্স আনা হচ্ছে। তিস্তায় বোটে চেপে আমরা নজরদারি চালাব। জাতীয় সড়কে যাতে যানজট না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ময়নাগুড়ির বিডিও লেন্ডুপ ছোদেন শেরপা বলেন, আমরা মেলায় নজর রাখব। মেলার জন্য তিস্তার ঘাট এবং মেলা চত্বরে পার্কিংয়ের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। কারও যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তা দেখা হবে। এজন্য ব্লক থেকে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে।
ময়নাগুড়ির জল্পেশের শ্রাবণী মেলায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি প্রতিবেশী অসম রাজ্য ছাড়াও নেপাল, ভূটান দেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থী আসেন। তাই ব্লক ও পুলিস প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে।