বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শম্ভুবাবু বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের ধারণা এটি দুষ্কৃতীদের কাজই হবে। আতঙ্ক বা ভয় দেখানোর জন্য দুষ্কৃতীরা এই কাজ করে থাকতে পারে। তবুও এই ঘটনায় আমার পরিবার অতঙ্কে আছে। বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার বলেন, দলীয় উপ প্রধানের বাড়ির গেট থেকে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা জড়িত আছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
দলসিংপাড়া পঞ্চায়েতের পাশেই জয়গাঁ শহরের ভূলন চৌপথিতে বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বাড়ি। গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, দলসিংপাড়া শান্তিপ্রিয় জায়গা। আমাদেরও ধারণা, ভয় দেখাতেই শম্ভুবাবুর বাড়িতে দুষ্কৃতীরাই গুলি রেখে গিয়েছে। শম্ভুবাবুরও পরিবার আছে। আমাদেরও দাবি, পুলিস সঠিক তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করুক।
জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুলিটি নাইনএমএম পিস্তলের এবং সেটি অনেক দিনের পুরনো। এই ঘটনার পেছনে কারা আছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
দলসিংপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের মধ্যে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল আটটি এবং বিজেপি পাঁচটি আসন পায়। দলসিংপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় শেষ কবে এধরনের গুলি ছোঁড়া বা গুলি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে তা স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ মনে করতে পারছে না। এখানে রাজনীতির দলাদলিও নেই। ফলে স্থানীয় উপ প্রধানের বাড়ির গেটের পিলার থেকে এভাবে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহল ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ির বাইরে মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়িতে ঢোকার সময় বাড়ির গেটের কংক্রিটের পিলারে শম্ভুবাবুই প্রথম নাইন এমএম পিস্তলের গুলিটি দেখতে পান। পরে বাড়ির ঘরের দেওয়ালেও একটি ফুটো দেখতে পান তিনি। খবর ছড়াতেই বাসিন্দারা শম্ভুবাবুর বাড়িতে ভিড় জমান।