বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
কেন বাড়ানো হল অবসরের বয়স? নিজের মতো করে তার জবাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই সময়টা তাঁরা অনেক পরিণতভাবে কাজ করতে পারবেন। ৬০ বছরেই কাজ ফুরিয়ে গেল, আমি তাতে বিশ্বাসী নই। যেসব কাজের মূল ভিত্তি চিন্তা-ভাবনা, সেখানে ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা পরিণত হলে আরও ভালো কাজ বেরিয়ে আসে। তবে এর ফলে রাজ্যে চাকরির যে কোনও সমস্যা হবে না, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক হাজার স্কুলের পাশাপাশি আরও ১১টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। ফলে যুবক-যুবতীদের কোনও চিন্তা নেই।
উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৭০ করা ফলে, যে সব উপাচার্য অবসরের দোড়গোড়ায় রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় থেকে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে। অবসরের বয়স বৃদ্ধির কারণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই মতামত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মতে, উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজনীয় মেধা কি পাচ্ছি আমরা? ইউজিসি যে নিয়ম তৈরি করেছে, সেই অনুযায়ী শিক্ষক পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিজ্ঞ শিক্ষক রাখা দরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে যে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে উষ্মা প্রকাশ করলেন, তাদের নিয়ে কি কোনও রিপোর্ট উচ্চশিক্ষা দপ্তর চাইবে? শিক্ষামন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। শীঘ্রই জানা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া অধ্যাপকমহলে? অ্যাবুটার সভাপতি তরুণ নস্কর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা এই দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছিলাম। শেষমেশ সরকার ইউসিজি’র বিধিকে মান্যতা দিল। জুটার তরফে পার্থপ্রতিম রায় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও নতুন বেতনক্রম কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ওয়েবকুটার সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্তের মতে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অধ্যাপকমহলে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, নব প্রজন্মের কর্মসঙ্কোচন হবে না তো?