বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এই পরিসংখ্যানের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের পরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। ওই রাজ্যে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪০৪টি পরিবার ইতিমধ্যে ১০০ দিন কাজ পেয়েছে। তার পরে রয়েছে ছত্তিশগড়। সেখানে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৬৪টি পরিবার ১০০ দিন কাজ পেয়েছে। এরপরে রয়েছে তেলেঙ্গানা, সেখানে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ১৭টি পরিবার ইতিমধ্যে ১০০ দিন কাজ পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৮১ থেকে ৯৯দিন কাজ পেয়েছে ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৮টি পরিবার। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ১০০ দিন কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বাকি রাজ্যগুলি। প্রসঙ্গত, নারেগা প্রকল্পে এবছরও এক নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
বর্তমান আর্থিক বছরে শ্রমদিবস তৈরিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরকে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ২৫ কোটি। গত মাসেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যায়। এরপরেই গত ২৮ ডিসেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমদিবস বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়। লিখিতভাবে সেই আবেদন করা হয়। বলা হয়েছিল, ৩১ কোটি ২৫ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হোক। তার ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শ্রমদিবস বাড়িয়ে ২৮ কোটি করা হয়েছে বলে দিল্লি থেকে জানানো হয়। এদিকে, মঙ্গলবারই সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গেল। এদিন পর্যন্ত শ্রমদিবস দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৪৪ লক্ষ।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে দিয়েছে ৬৪০২ কোটি টাকা। গতবছর দিয়েছিল ৫৯২৭ কোটি টাকা। আর খরচ হয়েছিল ৭৯২০ কোটি টাকা। বাকি টাকা বকেয়া রয়েছে। গতবারের কিছু বকেয়া এই বছরে দেয় কেন্দ্র। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া রয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে। টাকা খরচের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থানেই রয়েছে। তারপরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তাদের খরচ ৬২৪৪ কোটি টাকা। উত্তরপ্রদেশ খরচ বাবদ পেয়েছে ৪৫৮০ কোটি টাকা। রাজস্থান পেয়েছে ৪৪৭০ কোটি টাকা। আর তামিলনাড়ু পেয়েছে ৪০১১ কোটি টাকা।
বাম আমলে নারেগা প্রকল্পে ৩০-৩২ দিন কাজ পাওয়া যেত। বর্তমানে সেই কাজের দিন বেড়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৬৮ দিন। যা রেকর্ড। গতবছর কাজের রেকর্ড ছিল ৬০ দিন। কাজের দিন যেমন বেড়ে গিয়েছে, তেমনি ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে নানা ধরনের বৈচিত্র্যও আনা হয়েছে। যা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে খুবই প্রশংসিত হয়েছে। চিরাচরিত কাজের বাইরে গিয়ে বৃক্ষরোপণ সহ নতুন ধরনের কাজ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।