উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
হুগলি জেলা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, হুগলি জেলা জুড়ে পুলিসের অত্যাচারে গাড়ি রাস্তায় নামানোই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। প্রতিটি থানায় মান্থলি না করলে পুলিস যেখানে সেখানে নানা অজুহাতে গাড়ি থামিয়ে মোটা টাকা দাবি করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার পুলিস ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই লরিচালকরা এদিন তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এরপরেও প্রশাসন তোলাবাজি বন্ধ করতে ব্যবস্থা না নিলে, আমরা জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
হুগলির পুলিস সুপার(গ্রামীণ) সুখেন্দু হীরা বলেন, ভোররাতে মহেশ্বরপুর মোড়ে নাকার সময় লরিচালকদের একাংশ চেকপোষ্টের কিয়স্কে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। তোলাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিস সুপার বলেন, নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মহেশ্বরপুর মোড়ে মাঝেমধ্যেই নাকা চেকিং চালায় জেলা পুলিস। এজন্য একটি চেকপোষ্টও রয়েছে। লরিচালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নাকা চেকিংয়ের নাম করে পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে এই এলাকায় নিয়মিত তোলবাজি চালায় পুলিস ও দাদপুর থানার ‘ডাকবাবু’ মোহিতের লোকজন। অন্যান্য দিনের মতো রবিবার ভোররাতেও কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও ডাকবাবুর লোকজন নিয়ে নাকার নামে পুলিস তোলাবাজি করছিল। আন্দোলনে শামিল হওয়া ট্রাকচালকদের অভিযোগ, ভোর ৫টা নাগাদ ভিন রাজ্য থেকে আসা দুটি লরির চালক পুলিসকে দাবি মতো তোলা দিতে অস্বীকার করে। তা নিয়ে তাদের সঙ্গে পুলিসের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ ওই সময়ে পুলিস দুই ট্রাকচালককে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তা দেখেই দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্য লরির চালকরা প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। এরপরেই লরিচালকরা ইট ছুঁড়তে শুরু করলে নাকার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা পালিয়ে যায়। তারপরেই উত্তেজিত লরির চালকরা পুলিস চেকপোষ্টের কিয়স্ক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত দুই লরিচালককে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে রাস্তায় পুলিসের চেকিংয়ের নামে তোলাবাজি বন্ধ করার দাবিতে সকাল ৬টা থেকে লরিচালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ শুরু করে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলতে থাকায় কলকাতা ও দুর্গাপুরমুখী লেনে বেশ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। অবরোধ ওঠার প্রায় ঘণ্টাখানেক বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।