খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে জরুরি পরিষেবা এবং মুদির দোকান সহ একাধিক পরিষেবাকে। তা সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে সামগ্রী কিনে নিয়ে ঘরে মজুত করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে এদিন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা ছিল, এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি করতে পারেন। কিন্তু ভরসা জুগিয়েছেন দোকানদারেরা। ইসলামপুরের এক মুদি দোকানদার পরমেশ্বর যাদব, চাকুলিয়ার রামকৃষ্ণপুরের মুদি দোকানদার দুলাল বিশ্বাস, চোপড়ার দোকানদার মহম্মদ মুজাহিদ বা করণদিঘির প্রদীপ সিংহ-সকলেই বলেছেন, এই বিপদের দিনে সরকার যেমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমনি সরকারি নির্দেশ মেনে তাঁরা দোকান খোলা রাখবেন এবং কোনও রকম কালোবাজারি হতে দেবেন না।
ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদেব নন্দী নিজে মুদি ব্যবসায়ী। মুদির সামগ্রীর হোলসেল ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, সরকার লকডাউন করার য়ে নির্দেশ দিয়েছে আমরা তাকে সমর্থন করি। আমাদের সাময়িক একটু কষ্ট হবে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমরা দোকান খোলা রাখছি। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে কিনতে পারেন সেজন্য সাহায্য করছি। সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত আছে। কারোর কোনও আশঙ্কা নেই। ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সাহা নিজে ডালখোলা শহরে মুদির দোকান করেন। তিনি বলেন, আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। এই বিপদের সময় আমাদের দোকান খোলা থাকবে। ন্যয্য মূল্যে সমস্ত পণ্য বিক্রি করা হবে। অন্যান্য মুদি দোকানদারদেরও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসলামপুরের এক মুদি দোকানদার পরমেশ্বর যাদব বলেন, করোনা নিয়ে আমরাও চিন্তিত, আমাদের পরিবারও চিন্তিত। কিন্তু এই বিপদের দিনে ব্যবসার চেয়ে মনুষ্যত্বই বড়। দোকান খোলা থাকবে এবং প্রতিটি জিনিসের ন্যায্য দাম নেওয়া হবে।
চাকুলিয়ার এক মুদি দোকানদার দুলাল বিশ্বাস বলেন, এদিন সকাল থেকেই ক্রেতার সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশি ছিল। আমার দোকান খোলাই আছে। ন্যায্য মূল্যেই সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি শচিন মক্কর বলেন, য়ে সমস্ত এলাকায় বড় হোলসেলার আছে, আমরা সেই সমস্ত এলাকায় বাইক দিয়ে পেট্রলিং করছি। মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। তাদেরকেও বলা হয়েছে মজুতদারি হলে পুলিসকে জানাতে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।