বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, চাঁচল-১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুচর গ্রামে শনিবার সকাল থেকে মহানন্দা নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েন। বালুচর গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ৪০টি পরিবার ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তাঁদের আশঙ্কা, মহানন্দার জলস্তর আরও বাড়লে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে। তাই গ্রামে জল ঢুকে পড়ার পরপরই তাঁরা সুরক্ষিত আশ্রয়ের সন্ধান শুরু করেছেন।
বালুচর গ্রামের বাসিন্দা মাবুদ আলি বলেন, কয়েকদিন থেকেই মহানন্দা নদীর জল বাড়ছে। কিন্তু এদিন সকালে গ্রামে জল ঢুকে পড়বে তা বুঝতে পারিনি। গ্রামের অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ কেউ স্থানীয় স্কুলগুলিতে আপাতত মাথা গোঁজা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
ওই গ্রামেরই আরেক বাসিন্দা মোমতাজ আলি বলেন, রাস্তার উপরে তো জল রয়েইছে, যাঁদের বাড়ি গ্রামের নিচু এলাকায় তাঁদের বাড়ির উঠোনেও জল চলে এসেছে। তাঁরা এখন জিনিসপত্র সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, মহানন্দা সংলগ্ন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে প্রয়োজনে জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে যেন কোনও ঘাটতি না থাকে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে।
সেচদপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, শনিবার বিকেলে মহানন্দার জলস্তর ছিল ২০.২২ মিটার যা বিপদসীমা থেকে সামান্য নিচে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গঙ্গার জলস্তর। এদিন গঙ্গায় নতুন করে জল বাড়েনি। এখানে জলস্তরের উচ্চতা ছিল ২৩.৪৮ মিটার। এখনও বিপদসীমার ১.২১ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গা। অন্যদিকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও, কমতে শুরু করেছে ফুলহারের জলস্তর। সেচদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শনিবার বিকেলে ফুলহার নদীর জলস্তর ছিল ২৭.৭২ মিটার। বিপদসীমার শূন্য দশমিক ২৯ মিটার উপর দিয়ে বইলেও চরম বিপদসীমা থেকে কিছুটা নিচে নেমে এসেছে ফুলহারের জলস্তর। তবে ফুলহারের প্রবল ভাঙন শুরু হওয়ায় সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে নদীর বাঁধ। বাঁধটি কোনও কারণে বিপন্ন হলে রতুয়া-১ ব্লকের অন্তত পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক বাসিন্দা প্লাবিত হয়ে পড়বেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের অন্য সময় ভাঙন প্রতিরোধ ও বাঁধ মেরামতের কাজ না করায় সমস্যা বাড়ছে। বর্ষার মরশুমে বাঁধ মেরামতের কাজ করা অর্থহীন।
সেচদপ্তরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্ট ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বদিরুদ্দিন শেখের বক্তব্য, আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় আগে বাঁধের কাজ করা যায়নি। আপাতত আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।
চাঁচলের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় বলেন, রতুয়া-১ ব্লকের দেবীপুর অঞ্চলের সূর্যপুরে বাঁধ রক্ষার কাজ চলছে। দপ্তরের কর্মীরা সেখানে রয়েছেন। পুলিসও মোতায়েন করা হয়েছে।